লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আরো একবার বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হল। বুধবারও তা থেকে রেহাই পেল না চ্যাম্পিয়নরা। যে আম্পায়ারদের নিয়ে বিসিবির কাছে লিখিত আপত্তি জানিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা সেই তারাই থাকলেন ম্যাচ পরিচালনায়। প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে গুরুত্বপুর্ন ম্যাচে সেই মিজানুর রহমান মিলন আর জাহাঙ্গীর থাকলেন। তৃতীয় শ্রেনীর আম্পায়ার! তাদের ভুল আম্পায়ারিংয়ের কারনে বুধবার ম্যাচটা হেরে গেল দল।
তাইতো দলের স্বত্বাধিকারি লুৎফর রহমান বাদল উত্তেজিত। তিনি বললেন, ”আমি আমার কমিটির সঙ্গে কথা বলছি। লিগ থেকে দল তুলে নিতে পারি। আসলে এ বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করে তো লাভ নাই। কারন এই লড়াইয়ে আমি একা। এটাই তাই আমার প্রতিবাদ। দেখুন-ইচ্ছে করে এই আম্পায়ারদের দেওয়া হচ্ছে আমাদের ম্যাচে ও আবাহনীর ম্যাচে। গত বছর থেকে যদি দেখেন, আবাহনীর রেলিগেশন ম্যাচে এই আম্পায়ার ছিল। আবাহনীর ম্যাচে ও আমাদের ম্যাচে এই দুই আম্পায়ারকে দেওয়া হল। তারা একটা মিশন নিয়ে মাঠে নামে।”
লুৎফর রহমান আরো বললেন- ”আসলে বোর্ড প্রেসিডেন্ট যতই বড় বড় কথা বলুক, উনি নিজে এর সঙ্গে জড়িত। উনার যে একটা কর্মচারি আছে, মল্লিক, তাকে দিয়ে সব করানো হয়। ফিক্সচার থেকে শুরু করে মাঠ, আম্পায়ার, বোর্ডের সবই সে করে। এখানে আরো একজন আছে, সুজন, আমি মনে করি ক্রিকেটের একবটা কলঙ্ক তিনি। দেখুন বিস্ময়কর হল- বাংলাদেশ ক্রিকেটের বোর্ড পরিচালক, ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, এক দলের কোচ, আরেক দলের ম্যানেজার তিনি একাই সব। তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।”
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা এই সংগঠক জানালেন-কথাগুলো আবেগ থেকে তিনি বলেন নি। এতে বাস্তবতা আছে। জানালেন, ” দেখুন, আমি এখানে ক্রিকেট খেলতে আসছি। এতগুলো টাকা খরচ করছি ক্রিকেটের জন্য। এখন যদি বোর্ড মনে করে ক্রিকেটের জন্য আমার মত লোক দরকার নেই, সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত।” আমাকে নামায়ে দিলে নামায়ে দেবে।
লুৎফর রহমান আরো বললেন- ”বোর্ড প্রেসিডেন্ট গতকাল বললেন, ‘আমি কিছু জানি না।’ এটা পুরোপুরি ভুল কথা। তিনি সব জানেন। তার কথা ছাড়া, তার অফিসের মল্লিকের ইশারা ছাড়া একটা আম্পায়ার কোথাও মুভ করতে পারে না। আপনারা জানেন, গাজী সোহেল সেদিন আমাদের ম্যাচে ছিল আম্পায়ার। আবাহনী হারল, ব্যস এখন আর তাকে আম্পায়ারিং দেবে না। তাকে সাসপেন্ড করা হল। তাহলে কী বুঝলেন? দেখুন-আমি প্রমান ছাড়া কোনো কথা বলছি না! আপনারা দেখুন, আজ (বুধবার) লিগের টপ দুই দলের খেলা, অথচ কোন আম্পায়ার দিল? আমাদের ইন্টারন্যাশনাল আম্পায়ার আছে, তাদের না হোক অন্তত এ গ্রেড আম্পায়ার আছে। তাদের কাউকে দিল না!”
বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকে উদ্দেশ্য করে লুৎফর রহমান বললেন, ”বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজেই বেক্মিমকোর চাকুরে। আরেকজন আছে মল্লিক। তিনি তো আরও নিচের পোস্টে চাকরি করেন। এদের দিয়ে ক্রিকেটে চালালে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি হবে কিভাবে? আমি এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি।”
Discussion about this post