জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়েই থেকেছেন। তারপরও সাফল্যের ক্ষুধা তীব্র ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। এভাবেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে নেন ৫০০ উইকেট। তারই সম্মাননা এক সময়ের সতীর্থদের কাছ থেকে পেয়েছিলেনও আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু কোনো ভাবেই এ বাঁহাতি অফস্পিনার ভাবেননি যে, ফের ফিরবেন জাতীয় দলে।
১২ টেস্টে ২৩ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক। ২০১৪ সালে সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের হয়ে সাদা পোশাকে তাকে দেখা গিয়েছিল মাঠে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় আঙ্গুলে চোট পেয়ে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় প্রথমে সানজামুল ইসলাম ও তানবীর হায়দারকে দলে নেয় বাংলাদেশ। পরের দিন আচমকা রাজ্জাককে ডেকে নেন নির্বাচকরা। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরুর আগে ব্যাপারটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রাজ্জাক বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি চিন্তাও করিনি, মাথার মধ্যে ছিলও না আবার দলে জায়গা পাব। হঠাৎ জানতে পারলাম যে দলে এসেছি। শোনার পর বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কী হচ্ছে, সব ঠিক আছে কী না।’
দেশের জার্সিতে সবশেষ রাজ্জাক খেলেছিলেন ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ চট্টগ্রামেই। সেই বছর ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছিলেন এ বাঁহাতি। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ উজ্জ্বল রাজ্জাক। এই সময়ে তিনি নেন ২৪৪ উইকেট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সানজামুল ইসলামের (৯৪) চেয়ে পান দেড়শ উইকেট বেশি।
সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে দেখা যেতে পারে রাজ্জাককে। কেননা, অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবেই ভাবা হচ্ছে তাকে। মাঠে এই সুযোগটা নিশ্চয়ই কাজে লাগাবেন রাজ্জাক।
Discussion about this post