শুরুটা ছিল অবহেলায়। ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামে কোনো দলই ডাকেনি মুস্তাফিজুর রহমানকে। কিন্তু শেষটা হলো গর্বের, সম্মানের। দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে শুধু খেলায়নি, শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধাও জানিয়েছে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসারকে।
গতকাল জয়পুরে দিল্লির আইপিএল যাত্রার শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন অসাধারণ। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট—প্রিয়াংশ আর্য্য, শশাঙ্ক সিং ও মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের পরদিন দিল্লি ক্যাপিটালস ফেসবুক পেজে মুস্তাফিজের একটি আগুনঝরানো ছবি দিয়ে লিখেছে, ‘ফিজ গত রাতে এমন ব্যস্ত ছিলেন।’ সেই ছবিতে মুস্তাফিজের হাত যেন লাভার মতো জ্বলছিল—প্রতীকীভাবে বোঝানো হয় তাঁর আগুনে বোলিং।
মুস্তাফিজকে মূল দলে নেওয়া হয়নি, সুযোগ পেয়েছেন একেবারে শেষদিকে। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ফিরবেন না জানানোয় বদলি হিসেবে দলে ঢোকেন। তবে খেলেছেন মিচেল স্টার্কের জায়গায়। আইপিএলে মুস্তাফিজ যোগ দেন হুট করে-১৭ মে শারজায় জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলে পরদিনই দিল্লিতে হাজির। মাত্র ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে গুজরাটের বিপক্ষে মাঠে নামেন। দিল্লির হয়ে খেলেন তিনটি ম্যাচ-সবগুলোতেই খেলেন, প্রতিবারই দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেন।
তার ডেথ ওভারের বোলিং বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। স্টার্কের সঙ্গে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সাশ্রয়ী বোলার—ওভারপ্রতি ৯.০৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেটের মধ্যে ২টি। অন্যরা দিয়েছেন ১৩.৫৭ হারে। তিন ম্যাচে ১১ ওভার বল করে ৭.৯০ ইকোনমি রেটে ৪ উইকেট নিয়েছেন। আর সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে আইপিএলে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার হয়েছেন-৬৫ উইকেট নিয়ে।
এই সম্মান আর স্বীকৃতির মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের এবারের আইপিএল মিশন। আজ সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে লাহোরের পথে রওনা হবেন তিনি, যেখানে ২৮, ৩০ মে ও ১ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
Discussion about this post