টেস্টের প্রায় দুই দিন খেলাই হয়নি। তারপর তো ড্রয়ের মঞ্চ তৈরিই হয়ে যায়! কিন্তু সেই টেস্টেও এখন দারুণ চাপে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দল ফলো-অনের শঙ্কায়। ফলো-অন এড়াতে হলে ১০১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। ঠিক এ অবস্থায় মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৬। আরও ২৫ রান চাই ফলো-অন বাঁচাতে।
এর আগে ঢাকা টেস্টে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান তুলে চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। সন্দেহ নেই ভয়াবহ চাপে থেকেই বুধবার শেষদিনে মাঠে নামবে টাইগাররা।
এমন দুঃসংবাদে আশার প্রদীপ হয়ে আছেন একজনই-সাকিব আল হাসান। তিনি ২৩ রানে আছেন উইকেটে। ফলোঅন এড়াতে লড়ছেন তিনি। সঙ্গে কোন রান না করে আছেন তাইজুল ইসলাম।
পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খান একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। তিনি যে ঘূর্ণি যাদু দেখাচ্ছিলেন তাতে আলোকস্বল্পতায় বাংলাদেশের স্বস্তি। একটু আগেই দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ২৩ ওভার আগে। দৃষ্টিকটু খেলে জতাশই করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ও বাজে শটের মহড়া চলেছে। তাতেই নিষ্প্রাণ ম্যাচেও প্রাণ ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা একটু লড়াই করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি করেন ৩০, সাকিব আল হাসান দিন শেষ করেন ২৩ রানে অপরাজিত থেকে। এছাড়া কেউ দু অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। বাংলাদেশের ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন সাজিদ খান, অন্যটি রান আউট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ (ডি.) (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ২৩-৩-৮৮-১, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, সাকিব ১৯-৭-৫২-০, তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, মিরাজ ১৪-২-৩৭-০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬ ওভারে ৭৬/৭ (সাদমান ৩, মাহমুদুল ০, শান্ত ৩০, মুমিনুল ১, মুশফিক ৫, লিটন ৬, সাকিব ২৩*, মিরাজ ০, তাইজুল ০*; আফ্রিদি ১-০-১-০, নুমান ১২-২-৩৩-০, সাজিদ ১২-৩-৩৫-৬, বাবর ১-০-১-০)।
# ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে
Discussion about this post