গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো প্লে-অফ নিশ্চিত করল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচটা সহজ ছিল না একেবারেই। ১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভারের মধ্যে ৬৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। তবে ওপেনার আমির জাঙ্গুর ধৈর্যশীল ব্যাটিং আর ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের সঙ্গে সপ্তম উইকেটের জুটি দলকে নিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
আজ ভোরে অ্যান্টিগার সাফল্যের দিনে আলোচনায় থাকতে পারলেন না সাকিব। মাত্র ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বোলিংয়েও ছিলেন সাধারণ। ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৮ রান, পেয়েছেন কেবল ১ উইকেট। লিগপর্বের শেষ দুই ম্যাচ মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৬ রান ও ১ উইকেট। দলের ঐতিহাসিক অর্জনের দিনে তাই ব্যক্তিগত ব্যর্থতা গায়ে লাগছে না ঠিকই, তবে প্লে-অফে দলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে হলে সাকিবকে ফিরতে হবে ছন্দে।
অ্যান্টিগার জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন পেসার জেইডেন সিলস। ৩.১ ওভারে মাত্র ১৫ রানে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট, হয়েছেন ম্যাচসেরা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন উসামা মীর, নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে জাঙ্গু করেছেন ৫৭ বলে অপরাজিত ৫১ রান, যা অ্যান্টিগার ইনিংসে সবচেয়ে বড় অবদান।
লিগপর্বের ১০ ম্যাচে অ্যান্টিগা জিতেছে ৫টিতে, হার ৪টিতে, পরিত্যক্ত হয়েছে একটি। ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে তারা। এখন শুরু হবে প্লে-অফের লড়াই, যেখানে প্রতিটি ম্যাচই নির্ধারণ করতে পারে শিরোপার ভাগ্য। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যদি নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পান, তবে এই প্রথম প্লে-অফে ওঠা অ্যান্টিগা হয়তো টুর্নামেন্টে আরও বড় চমক উপহার দিতে পারবে।
Discussion about this post