বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আপাতত কোচ শুন্য। শেন জার্গেনসন মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করছেন। তাইতো হন্যে হয়ে এখন কোচ খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। অনেকটাই নিশ্চিত ভারতের বিপক্ষে আগামী মাসে ওয়ানডে সিরিজে দেখা যাচ্ছে না স্থায়ী কোন কোচ। অন্তবর্তীকালিন সময়ের জন্য দেখা যেতে পারে সারোয়ার ইমরানকে।
স্থায়ী হেড কোচ দেশের বাইরে থেকে আনার চেস্টাই করছে। সেই তালিকায় এগিয়ে শ্রীলঙ্কার চান্দিকা হাতুরাসিংগে। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপটে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার
আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার এখনকার পরিচয় অবশ্য পুরোদস্তুর কোচ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) হয়ে কাজ করছেন তিনি।
তাদের একটা কাজেই এবার ঢাকায় এলেন তিনি। এই ফাঁকে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলে অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে ভাববেন।
ক্রিকেট কোচিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় ‘লেভেল থ্রি’ও করা আছে সাবেক এই টেস্ট ক্রিকেটারের। আপাতত এসিসির গেম ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের ক্রিকেট উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমিনুল বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিংয়ের ব্যাপারে বিসিবির কাছ থেকে এখনও কোনো প্রস্তাব পাইনি আমি। প্রস্তাব পেলে চিন্তা করে দেখব। একজন পেশাদার কোচ আমি। পেশাদারি কোচের ব্যাপারে প্রস্তাব এলে অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখব।’
তবে বাস্তবতা হল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ হওয়ার তালিকায় নেই তার নাম। আমিনুল ইসলাম বলছিলেন, ‘দেখুন আমাদের দেশের আট-দশজন লেভেল-থ্রি শেষ করেছেন। আমার মনে হয় দেশীয় কোচদের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা যদি তাদের সুযোগ না দেই, তাহলে কীভাবে বলব যে তারা পরিপূর্ণ হতে পারছেন কি না। দুঃখজনক হলেও সত্য টেস্ট মর্যাদা লাভের ১৫ বছর পরও বাংলাদেশ ছুটছে বিদেশি কোচদের দিকে। সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও যথাযথ মর্যাদা পাচ্ছেন না দেশি কোচরা।’
এবার এই বৈষম্যের অবসান চাইছেন আমিনুল।
Discussion about this post