এমন ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে ফিল্ডিং! রীতিমতো বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। কিন্তু মুশফিকুর রহীম চমকে দেয়া সিদ্ধান্তটাই নিলেন। যার মাশুল এখন গুনছে দল। পচেফ্স্ট্রুমের সেনওয়েস পার্ক ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্যে অনায়াসে খেলে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়ারা প্রথম দিন শেষে ১ উইকেটে ৯০ ওভারে তুলেছে ২৯৮ রান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১২৮ রানে অপরাজিত এলগার। অন্যপ্রান্তে হাশিম আমলার রান ৬৮।
ডিন এলগার ও এইডেন মার্করাম বাংলাদেশের অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা মিথ্যে বলে প্রমাণ করেন। ব্যাটিং উইকেট আর নিস্প্রাণ বোলিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মার্করাম ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই পেয়ে যান অর্ধশতক। তার আগেই হাফসেঞ্চুরি এলগারের। এক পর্যায়ে এই জুটিতে শতরান পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টে ১৭ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পেল প্রোটিয়ারা।
এরপর এলগার-মার্করাম জুটিতে দেড়শ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ওপেনিং জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ সালের নভেম্বরে দেড়শ রানের জুটি পেয়েছিল। দুবাই টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫৩ রানের জুটি গড়েন গ্রায়েম স্মিথ ও আলভিরো পিটারসেন।
২২ বছর বয়সী এই ওপেনার মার্করামের বিদায়টা অবশ্য ভাল হল না। ৯৯ রানে থাকা এলগারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে শেষ তার ইনিংস। ৯৭ রানে আউট! পাকিস্তানের আব্দুল কাদির আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজের অভিষেক ম্যাচে নার্ভাস নাইটিজে আউট তিনি। মার্করামের বিদায়ে ভাঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তারপরই এলগার ক্যারিয়ারের ৪০ টেস্টে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। ১০৮ টেস্ট খেলা হাশিম আমলাও এরপর তুলে নেন অর্ধশতক। দিন শেষে দুজনই ছিলেন অপরাজিত। ব্যাটিং উইকেটে অবশ্য রান তোলায় তেমন তাহাহুড়ো দেখাননি দু’জন। এলগার-আমলা অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১০২।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
টস: বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১ম ইনিংস, (এলগার ১২৮*, মারক্রাম ৯৭, আমলা ৬৮*; মুস্তাফিজ ০/৫৪, শফিউল ০/৪৪, মিরাজ ০/১০১, তাসকিন ০/৫২, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, মুমিনুল ০/১৫, সাব্বির ০/১৫)
Discussion about this post