করোনাভাইরাস কতো কী যে পাল্টে দিয়েছে। এখন আর আগের মতো সব স্বাভাবিক হয়নি। যাপিত জীবনে নানা বিধি নিষেধ তো আছেই। এই যেমন এবার নেপাল যেতে গিয়ে কী বিপত্তিতেই না পড়লেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার ভোরে দেশ ছাড়েন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেট।
কিন্তু এই যাত্রা আগের মতো হয়নি তামিমের। বাংলাদেশ থেকে নেপালের বিমানপথ দেড় ঘন্টার মতো। কিন্তু এবার ফ্লাইট জটিলতায় প্রায় ৮ গুণ বেশি সময় ব্যয় করে নেপালে পা রাখতে হয়েছে তাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার হয়ে নেপালে যেতে বিকেল হয়ে যায় তামিমের।
কিন্তু এখন সব ভুলে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) খেলায় মন দেবেন তামিম। নেপালে প্রথমবারের মতো ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে গেলেন তিনি। যদিও সময়টা এখন ভাল যাচ্ছে না। ইনজুরি ভুগিছেন লম্বা একটা সময়। ইপিএল দিয়ে নিজেকে ফিরে পেতে চান তামিম।
নেপালে পা দিয়ে তামিম বলেন, ‘দেখুন, নেপালে আসা নিয়ে খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। এর আগে কখনও নেপাল আসা হয়নি। অনেক সুন্দর একটি দেশ। ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে নেপালের বিপক্ষে একবার খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল। ইপিএল খেলতে মুখিয়ে আছি। প্রথম ম্যাচের দিকে দৃষ্টি রাখছি। আশা করি ভালো একটি টুর্নামেন্ট হবে। দলের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই আমি।’
হিমালয়ের দেশে এই লিগে তামিম খেলবেন ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্সে। নেপালের ক্রিকেট নিয়ে বেশি জানাশোনা নেই তামিমের। প্রথমবার গেলেন দেশটিতে। তামিম বলেন, ‘প্রস্তাব পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম, কারণ এটি নতুন চ্যালেঞ্জ। আসলে নেপালের ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি কিছু জানি না। তাদের বিপক্ষে একটি ম্যাচই খেলেছি। সন্দ্বীপ লামিচানে বিপিএল খেলতে এসেছি, তাকে আমি চিনি। তাদের আরও কয়েকজনকে চিনি।’
অবশ্য এখন জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার চিন্তায় থাকার কথা ছিল তামিমের। কিন্তু হঠাৎ করেই জাতীয় দলের এই তারকা স্বেচ্ছায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে বসে থাকেন নি। এবার নেমে পড়বেন নেপালের লিগে।
Discussion about this post