নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা নানা কারণে আলোচিত হয়ে থাকল। যেখানে স্বাগিতকদের দর্শক ফাইনালে ফাইনালে উঠে গেছে টাইগাররা। কিন্তু ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটাররা উত্তেজনা ধরে না রাখতে পেরে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। তারই রেশ অনেক দুর গড়ায়। এজন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান সোহানের ম্যাচ ফির ২৫ ভাগ কেটে নেয়া হয়। পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট ক্যারিয়ারের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।
নাটকীয়ভাবে ২ উইকেটে জয়ের পর ম্যাচ শেষে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে নিজেদের ড্রেসিং রুমের গ্লাসও ভাঙ্গেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সবগুলো ঘটনার তদন্ত করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
এ অবস্থায় দুঃখ প্রকাশ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বোর্ডের মনে হয়েছে, যা ঘটেছে কিংবা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যে আচরণ দেখিয়েছেন এই ম্যাচে তা পেশাদারিত্বের চরম লঙ্ঘণ। একইসঙ্গে এসব ঘটনা ক্রিকেট স্পিরিটের পরিপন্থি। ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশ্বাস প্রকাশ করে বিসিবি।
শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দুঃখপ্রকাশের কথা জানানো হয়। বলা হয়, ‘শুক্রবার নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের সময় অনাকাংখিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। বিসিবি মেনে নিচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের আচরণ গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমরা বিশ্বাস করি, ম্যাচের পরিস্থিতি, গুরুত্ব এবং চাপের কারণেই বিষয়টা এমন অনাকাংখিত অবস্থার দিকে চলে গেছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, ম্যাচের চরম মুহূর্তে দলের ক্রিকেটাররা পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করতে পারেনি। এ কারণে দলের খেলোয়াড়দেরকে তাদের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।’
বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো লেখা হয়, ‘ঐতিহাসিকভাবেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বিসিবির গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। কারণ, পরস্পরের সম্পর্ক, সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত রয়েছে। দু’দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যেও দারুণ সম্পর্ক বিদ্যমান। যেটা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা স্মরণ করতে চাই, নিদাহাস ট্রফির আয়োজন ছিল চমৎকার। তার চেয়েও টুর্নামেন্টটি ছিল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ।’
Discussion about this post