সিরিজ জিতে নিয়েও হোয়াইটওয়াশ হাতছাড়া-কিন্তু তাতেও যেন কোনো আফসোস নেই বাংলাদেশ শিবিরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় হাতছাড়া হলেও সামনে তাকানোই যেন মূল লক্ষ্য। কৌশলগত ও বাস্তব চিন্তায় ভর করেই বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা-যার কেন্দ্রে রয়েছে ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’।
মিরপুরের গরম বিকেলে মাঠে যখন নতুন চেহারার একাদশ, তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হবে মুখ্য। বাদ পড়লেন নিয়মিত পারফর্মার পারভেজ, হৃদয়, মুস্তাফিজ, রিশাদরা। জায়গা পেলেন মেহেদী মিরাজ, সাইফউদ্দিন, নাসুমরা।
এই রদবদলের পেছনে যুক্তি নিয়ে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘সবাইকে খেলানোর পাশাপাশি ইনজুরির ঝুঁকি কমানো খুব জরুরি। বিশেষ করে পেসারদের ক্ষেত্রে। তাসকিন, শরিফুল-দুজনই ইনজুরির প্রান্তে দাঁড়িয়ে। তাদের সাবধানে খেলাতে হবে।’
উইকেট নিয়ে যদিও পাকিস্তানি কোচ ও অধিনায়ক কড়া সমালোচনা করেছেন, লিটনের চোখে তা উল্টো, ‘এই উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। আগের ম্যাচগুলোর চেয়ে অনেক ভালো। ১৮০ রান তাড়া করা যেত।’
কিন্তু ব্যাটাররা কেন পারল না? লিটনের বিশ্লেষণ, ‘গাণিতিক ক্রিকেট খেলতে পারিনি আজ। তবে আগের ম্যাচগুলোয় টপ অর্ডার ভালো করেছে। আজ ব্যর্থতা এসেছে, এটা ক্রিকেটের অংশ।’
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এমন উইকেটে খেলা কতটা সহায়ক-জবাবে লিটন দ্ব্যর্থহীন, ‘অবশ্যই সাহায্য করবে। মানিয়ে নেওয়ার এ অভ্যাসই বড় মঞ্চে কাজে লাগবে।’
Discussion about this post