ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
নিয়মিত অধিনায়ক নেই দলে। জুয়াড়িদের পাতানো ম্যাচের প্রস্তাব গোপন করে এখন তিনি নিষিদ্ধ এক ক্রিকেটার। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে মাঠের বাইরে। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় মুমিনুল হককে। এরপর পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তিন টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে নজর না কাড়তে পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুমিনুলই নেতৃত্বে।
তবে ব্যর্থতায় চুপসে যাচ্ছেন না। দ্বায়িত্ব নিয়ে টানা তিন টেস্টে ইনিংস হারের পরও ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন নেতৃত্ব উপভোগ করছেন। শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগে শুক্রবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তিতে ছিলাম, তবে পাকিস্তানেও অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আগের তুলনায় এখন অনেক স্বস্তি নিয়ে কাজ করতে পারছি। ফিল্ডিং বলেন, ব্যাটিং বলেন সবকিছু এখন আগের চেয়ে আরামদায়ক। প্রথম একটা সিরিজ একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল, এখন সেটা কেটে গেছে।’
দুই শক্তিশালী দল ভারত-পাকিস্তানের পর জিম্বাবুয়ে। এবার কি ব্যর্থতা পেছনে ফেলতে পারবে দল? মুমিনুল হক বলেন ‘দেখুন, মানুষের একটু খারাপ সময় যায়। সম্ভবত দল হিসেবেও আমরা সেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সেই বাজে অবস্থা থেকে বেরিয়ে জন্য আসার কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই সেই সমস্যার সমাধান পাব। ইনশাল্লাহ আমি কথা দিলাম আমাদের পুরো দল বড় ইনিংস খেলতে পারবে। এককভাবে কেউ শুধু একশ না, দুশো বা তিনশ রানের ইনিংসও খেলে দিতে পারে। যে কেউ একজন বড় ইনিংস খেলবেই ইনশাল্লাহ!’
নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি নাকি দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্ব কোনও কিছু বলা নেই। আমি করছি, উপভোগও করছি। যখন যেভাবে দায়িত্ব দেবে, সেটা পালন করতে চাই। মানিয়ে নিচ্ছি সমস্যা হচ্ছে না।’
Discussion about this post