বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন এক নৌকা, যার তিনজন মাঝি-তিনজনই আলাদা দিক টানছেন। টেস্টে শান্ত, ওয়ানডেতে মিরাজ, টি-টোয়েন্টিতে লিটন। নেতৃত্বে বৈচিত্র্য এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেটি ভারসাম্য এনে দিচ্ছে, নাকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বিভ্রান্তি-সেই প্রশ্নই এখন মুখ্য।
সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই দ্বিধার কথাই বললেন। তিনি বলছিলেন, ‘তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক নয়, বরং দুইজন হলেই ভালো হতো। বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তবে এখন পারফরম্যান্সটাই সবচেয়ে জরুরি।’
নান্নুর কথার প্রেক্ষাপট যথেষ্ট বাস্তবমুখী। সামনে এক বছরে আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবং এরই মধ্যে শুরু হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। একেক ফরম্যাটে একেক দিশা থাকলে দলে সেতুবন্ধন গড়তে সময় লাগে। আর সেই সময় হয়তো এখন নেই।
বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কায়, গলের মাঠে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা। আর সেই ম্যাচ ঘিরেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নান্নু, ‘ওদের ঘরের মাঠে খেলা কঠিন। যদি একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হতো, তাহলে খেলোয়াড়দের অবস্থা বুঝে বলা যেত কে কতটা তৈরি।’
তবে তিনি হাল ছাড়েননি। তার বিশ্বাস, “ক্রিকেটারদের সক্ষমতা আছে। যদি দুটো দিন ভালো খেলে, ম্যাচ বের করাও সম্ভব। পারফরম্যান্স দিয়েই সব সমালোচনার জবাব দিতে হবে।’
নান্নুর বার্তা একেবারেই স্পষ্ট-অধিনায়ক বদল নয়, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই মূল ফোকাস হওয়া উচিত!
Discussion about this post