দেশ যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল, তখন কানাডার সাফারি পার্কে ঘুরতে ঘুরতে হাস্যোজ্জ্বল ছবি—এমন দৃশ্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসে সাকিব আল হাসানকে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একজন ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্যের এমন ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দেশজুড়ে। এক বছরেরও বেশি সময় পর, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব নিজেই।
সাকিব বলেন,’ছবিটি আমি দিইনি, তবে দায় নিচ্ছি। বুঝতে পারছি, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে তখন আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি জানান, এটি ছিল পারিবারিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পিত ভ্রমণ, যার সময়েই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট খেলছিলেন, পরে যান কানাডায়।
তবে ছবি প্রকাশের পর সৃষ্ট প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা তিনি অনুধাবন করেননি শুরুতে, ‘ভাবিনি এটা এত ছড়িয়ে পড়বে। অনেকেই কষ্ট পেয়েছে, এখন বুঝতে পারছি, সেটা আমার ভুল ছিল।’
ঘটনার জের ধরে কানাডায় এক দর্শকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কথাও শেয়ার করেন সাকিব। ‘সে আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছিল আমি কেন কিছু করছি না। আমি পালটা বলেছি—আপনি কী করেছেন? আমি তো চেষ্টা করছিলাম বুঝতে, কী করলে সঠিক হবে,’ বলেন তিনি।
রাজনৈতিক পরিচয়ের ভারে চাপা পড়ে গেছে কি না ক্রিকেটের প্রতি অঙ্গীকার-সাকিব সে প্রশ্নও ছুঁয়ে গেছেন। ‘সংসদ সদস্য হওয়ার পরেও আমাকে সব সময় বলা হয়েছে শুধু ক্রিকেটেই মনোযোগ দাও। আমি কখনো রাজনীতিতে জড়াইনি, জড়াতে বলা হয়নি,’ বলেন তিনি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব। মাঠে ফিরতে পারছেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই তার পেছনে পড়ে গেছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি কিছু বলেননি, তবে নিজের ভুল স্বীকার করে দিয়েছেন অকপটে।
Discussion about this post