ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বিপাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৫। ফলো অন এড়াতে প্রয়োজন আরও চাই ১০৫। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তুলেছে ৪০৯ রান। সন্দেহ নেই চাপে টাইগাররা।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার কথা বললেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। যিনি নিজেও তেমন ছন্দে নেই ব্যাট হাতে। জানালেন দল ভুল করেই চাপে। সিরিজ হার বাঁচাতে ঢাকায় জিততেই হবে বাংলাদেশকে। কারণ চট্টগ্রামে প্রায় জেতা ম্যাচটিতে দল হেরেছে ৩ উইকেটে।
চলুন দেখে নেই ভিডিও বার্তায় কী বললেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের আরও ভাল প্রত্যাশা নিশ্চয়ই ছিল..
অবশ্যই, প্রথমত উইকেট অসম্ভব ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখনও অনেক ভাল ছিল। তেমন কিছু হচ্ছিল না উইকেটে। আমার কাছে মনে হয়, যে চারটা উইকেট পড়েছে, কোনোটা যে খুব ভালো বলে বা উইকেটের কারণে পড়েছে, তা নয়। আপনি যদি দেখেন, চারটাই ব্যাটসম্যানদের এরর ছিল দেখে পড়েছে। আজকে যদি আমাদের ২টা উইকেট কম পড়ত এবং এ রানটা থাকত, তাহলে আমাদের অবস্থান আরও ভালো হতো। যেহেতু ৪টা উইকেট পড়ে গেছে, তাই বলতেই হবে ওরা টপে। বাট আমরা যদি কালকে বড় পার্টনারশিপ করতে পারি, ১০০-১৫০ রানের জুটি গড়তে পারি, তাহলে আবার ম্যাচে ফিরতে পারব।
দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিক-মিথুনের কাছে কি প্রত্যাশা…
উইকেট এখনও পর্যন্ত অমন কোনো আচরণ করেনি, যেটা নিয়ে চিন্তার কিছু আছে। আমাদের জন্য ইম্পরট্যান্ট থাকবে কালকে প্রথম সেশনটা। আমরা যেন উইকেট না হারাই। কারণ অলরেডি আমাদের ৪টা উইকেট পড়ে গেছে। খুব বেশি ব্যাটিং বাকি নেই। এ পার্টনারশিপের ওপরেই অনেক কিছু ডিপেন্ড করবে যে কেমন হবে ম্যাচটা। তাই এটাই আশা করতে পারি যে তাদের একটা ভালো পার্টনারশিপ হবে।
লোয়ার অর্ডারের ওপর আস্থা প্রসঙ্গে…
বিশ্বাস তো আপনার করতেই হবে। এমন না যে ওরা আগে কখনও করেনি। লিটনের সামর্থ্য আছে। মিরাজ প্রথম ম্যাচে দারুণ ছিল। যেটা বললাম আমি, নিজেদেরই দোষেই এই অবস্থা আমাদের। ভুলগুলো না করলে আমরা আরও ভালো অবস্থায় থাকতাম।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে কারণ?
আমার কাছে মনে হয়, আমি একটু এগ্রেসিভ খেলেছি। আমি ছাড়া কেউ এমন খেলেছে বলে মনে হয় না আমার। এগ্রেসিভ না, আমার কাছে মনে হয়েছে আমার ইন্টেন্ট অনেক ভাল ছিল। আউট হওয়ার বলটা ছাড়া অরকম কোনো ভুল শটও খেলিনি। একটা হয়তো স্লিপের পাশ দিয়ে গিয়েছিল। তবে মারার বল হলে আমি চেষ্টা করেছি মেরে রান তুলে নেয়ার। আমার কাছে মনে হয়েছে, খুব বেশি ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেটে যাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি রাশ শট খেলে আউট না হন, বলের মেরিট অনুযায়ী খেলেন, তাহলে এটা ঠিক আছে। দূর্ভাগ্যবশত আমি যেটায় আউট হলাম, সেটা ঠিক ছিল না।
উইন্ডিজকে ৩০০’র মধ্যে রাখতে না পারার কারণ কী…
আমরা তো চেয়েছিলাম, আজকে যত তাড়াতাড়ি আর্লি উইকেট নিতে পারি। নিয়ে ওদেরকে যদি ৩০০’র নিচে রাখা যায়, তাহলে এটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। বাট সাথে এটাও বুঝতে হবে, উইকেট খুব ভালো ছিল, আমাদের স্পিনারদের একদমই সাহায্য করেনি। এছাড়া তারা বেশ ভালো ব্যাটিংও করেছে। সবকিছু আমাদের ভুলের কারণে এমন নয়, কিছু ক্রেডিট তাদেরও দিতে হবে। তারা অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। জোসেফ নেবে খুব ভালো খেলেছে। সে ৭০ এর বেশি রান করেছে, উইকেটরক্ষক ভাল খেলেছে। আমরা অবশ্যই কিছু না কিছু ভুল করেছি, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ক্রেডিট দিতে হবে।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্টে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা করেছিলেন সেটার চাইতে অপ্রত্যাশিত দল সামনে পড়লো কিনা?
দেখেন চট্টগ্রাম টেস্টে চারটা দিন বলে চারটা দিন আমাদের ফরে ছিল। কিন্তু শেষদিন তারা অপ্রত্যাশিত ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এই টেস্টে ওরা এখনো পর্যন্ত আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে, কোন সন্দেহ নেই।
বাস্তবিক দিক বিবেচনায় এই টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
বিশ্বাস তো করতেই হবে। যেটা বললাম যদি চারটা উইকেট না পড়তো তাহলে আমরা বেটা সিচুয়েশনে থাকতাম। ডিফিকাল্ট, কিন্তু আমি বলবো না যে আমি এটা বিশ্বাস করিনা। আমরা নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি যে এখান থেকে ভালো কোন বড় পারফরম্যান্স হবে। এবং আমরা চেষ্টা করবো পরিস্থিতি বদলের।
Discussion about this post