ফেরা হল না! শেষপর্যন্ত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে আলোর মুখ আর দেখলেন না ফিলিপ হিউজ। বৃহস্পতিবার সিডনির চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। আর তাতেই শেষ হয়ে গেল ২৫ বছর বয়সী এই দুর্ভাগা ক্রিকেটারের জীবনের অধ্যায়। ইতিহাস তাকে দীর্ঘশ্বাস নিয়েই স্মরণ করবে আজীবন!
ঘটনা গত মঙ্গলবারের। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ। পেসার শন অ্যাবটের বাউন্সার হুক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শুরু। হেলমেটের পাশে বলের আঘাত পান তিনি। কয়েক সেকেন্ড দাড়িয়ে থেকে লুটিয়ে পড়েন মাঠেই। ফের আঘাত পান। এরপরই অ্যাম্বুলেন্সে করে সেন্ট ভিনসেন্টস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হিউজকে। মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। চেস্টা করেছিলেন ডাক্তাররা।
জানা গেছে দুর্ঘটনার সময় হিউজের মা এবং বোন মাঠেই ছিলেন। খেলা দেখছিলেন তারা। ঘঠনায় বিচলিত হয়ে পড়েন দু’জন। সঙ্গে অন্য ক্রিকেটাররাও।
দুর্ঘটনার সময় সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটসম্যান হিউজ ছিলেন ৬৩ রানে। প্রাথমিক চিকিৎসা চলার সময় ম্যাচটি বন্ধ রাখা হয়। এরপর হিউজকে যখন সিডনির হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ম্যাচটি বাতিল করা হয়। সতীর্থের এমন পরিনতিতে কী খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়?
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক হাসপাতালে ছুটে যান। ছিলেন দেশটির ক্রিকেট কর্তারাও। সবার প্রার্থনা-ফিরে আসুক হিউজ। কিন্তু ফেরা আর হল না!
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি খেলেছেন ২৬ টেস্ট ও ২০ ওয়ানডে। বয়স মাত্র ২৫। পুরো ক্যারিয়ারটাই পড়ে ছিল তার।
সেই রমন লাম্বার স্মৃতি যেন ফের ফিরে এলো। তিনিও সেই ভারতীয় ক্রিকেটারের মতো ক্রিকেট মাঠের করুণ পরিনতির শিকার হলেন। দুজনই ছিলেন- জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবশ্য ভারতীয় সেই ক্রিকেটারের মতো না ফেরার দেশে চলে গেলেন হিউজ।
Discussion about this post