এশিয়া কাপকে সামনে রেখে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে জাতীয় দলের ফিটনেস পরীক্ষা। বিসিবির স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলির অধীনে দৌড়, স্প্রিন্ট ও স্ট্রেংথ টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতা। ব্যস্ত সূচির আগে এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্স করেছেন এক ডজনেরও বেশি খেলোয়াড়।
টাইম ট্রায়াল পদ্ধতিতে ১৬০০ মিটার দৌড়ে সবার আগে ছিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা, সময় নিয়েছেন মাত্র ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব, যার সময় ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড। কেলি জানান, এই সেশনে মোট ১২ জন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং করেছে, আর স্ট্রেংথ টেস্ট ও স্প্রিন্ট মিলিয়ে ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা রেকর্ড গড়েছে খেলোয়াড়রা।
কেলির মতে, টাইম ট্রায়াল একটি সহজ, নির্ভুল এবং কম বিতর্কিত পদ্ধতি। এখানে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, শুধু অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বা ঘাসের মাঠেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। তার অভিজ্ঞতায়, যারা ইয়ো-ইয়ো বা বিপ টেস্টে ভালো করেন, তারা টাইম ট্রায়ালেও শীর্ষে থাকেন।
গত বছরের এপ্রিলে বিসিবিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস ডেটা নিয়মিত সংগ্রহ করছেন কেলি। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উন্নতি ও অবনতি স্পষ্ট বোঝা যায়। তবে ঘন ঘন ম্যাচ থাকলে ফিটনেস সেশন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কা সফরের কথা বলেন, যেখানে ছয় সপ্তাহের সিরিজে প্রায় ৭০ শতাংশ দিনই ম্যাচ ছিল।
খেলোয়াড়দের উদ্যম ও পরিশ্রমে সন্তুষ্ট কেলি আজ জানান, তারা অত্যন্ত মোটিভেটেড ও নিবেদিতপ্রাণ। ফিটনেস নিয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ শোনেননি তিনি।
ফিটনেস ক্যাম্প চলবে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ২০ আগস্ট থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। সেখানে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০ আগস্ট, ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেখানে ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে, প্রতিপক্ষ হংকং।
Discussion about this post