প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ৯০ ও অপরাজিত ৭৪ রান। এবার সেই তামিম ইকবাল ফিরলেন নার্ভাস ৯২ রানে। সত্যিই দুর্ভাগা ক্রিকেটারই বলতে হবে তাকে। ভাগ্যটা সঙ্গে থাকলে তো এতোদিনে টেস্টে ১৫ সেঞ্চুরি, ১৬ ফিফটি। কিন্তু তামেমের নামের পাশে
টেস্টে ৯ সেঞ্চুরি, ৩১ ফিফটি। ৮০ ছুঁয়েও সেঞ্চুরি পর্যন্ত না করতে পারায় এগিয়ে সাকিব আল হাসান। মোট ১১ বার। এরপরই তামিম ৮ বার।
শনিবার তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১তম টেস্ট খেলতে নেমেও শতকের কাছে গিয়ে ফিরলেন। নার্ভাস নাইন্টিজে আউট। পাল্লেকেলেতে প্রথম ইনিংসে ৯০ রান এবার ৯২।
টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির আগে ৯৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে তামিম তুলেন ৭০। বিরতির পর সেঞ্চুরির প্রায় কাছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারও হতাশ হতে হলো। বাঁহাতি স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা ফেরান তাকে। স্লিপে ক্যাচ দেন। ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রানে আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন টাইগার ওপেনার। শ্রীলঙ্কায় পাঁচ টেস্টে এনিয়ে ছয়বার ফিফটি পেলেন তামিম।
তবে এটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিমের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগের ১০ টেস্টে সর্বোচ্চ রান ছিল ৯০। যা করেন গেল সপ্তাহে পাল্লাকেলেতে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৭৪। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে মোট ছয়বার তামিম আউট হলেন ৯০’র ঘরে।
এবার নাসির হোসেনের পাশে লেখা হয়ে গেল তামিমের নাম। বাংলাদেশের হয়ে পরপর দুই টেস্টে নব্বইয়ে আউট হয়েছেন শুধু এই দুই জন। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৯৬ ও খুলনা টেস্টে ৯৪ রানে আউট নাসির।
নার্ভাস নব্বইয়ে সবচেয়ে বেশি আউট
সাকিব আল হাসান : ৪ বার
তামিম ইকবাল : ৩ বার
মুশফিকুর রহিম : ৩ বার
নাসির হোসেন : ২ বার
হাবিবুল বাশার : ২ বার
Discussion about this post