ম্যাচটা শুরু হয়েছিল আগাম একটা গল্প নিয়েই। পাকিস্তান উঠেছে ফাইনালে কোনো যুদ্ধ ছাড়াই। ভারত খেলে না, বলেই ফাঁকা রাস্তায় তাদের ঠাঁই হয় শিরোপার দোরগোড়ায়।
কিন্তু এই গল্পটা পুরোটা ছিল না। কারণ নাটকীয়তা তখনও বাকি ছিল। ছিল আরেক নায়কের অপেক্ষা-যিনি হ্যামস্ট্রিং ধরে রাখার মাঝেও প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে ফেলবেন… যিনি চার-ছক্কার জোয়ার বইয়ে দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেবেন, কেন তাঁকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ বলা হয়।
এজবাস্টনের গতরাতটা ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের শেষ যুদ্ধের মঞ্চ। পাকিস্তানের ১৯৫ রানের লক্ষ্যটাকে যে ভাবে একা পেরিয়ে গেলেন, সেটা ক্রিকেট নয়, যেন চিত্রনাট্য।
৬০ বলে ১২০ রান। ১২ চার, ৭ ছক্কা। প্রতিপক্ষের প্রতিটি বলকে উত্তর দিয়েছেন শিল্পীর তুলির মতো। আমলা ফিরেছিলেন শুরুতেই, কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স-ডুমিনি জুটি গড়লেন অবিচ্ছিন্ন ১২৫ রান, ১৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তান? তারা খেলেছিল, চেষ্টা করেছিল, শারজিল খান ৪৪ বলে ৭৬ রান করেছিলেন। বাকি ব্যাটাররাও কিছু রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু সবই যেন হয়েছিল ‘ক্যামেরার বাইরের দৃশ্য’-হাতে ক্যামেরা ছিলেন কেবল একজন, এবি ডি ভিলিয়ার্স।
ফাইনালের সেরা, গেম চেঞ্জার, মাস্টার ব্লাস্টার ও মোস্ট ভ্যালুয়েবল-সব পুরস্কার ভরে তুললেন ডি ভিলিয়ার্স। টুর্নামেন্টে তাঁর রান ৪৩১, তিনটি সেঞ্চুরি, স্ট্রাইকরেট ২২০। ক্রিকেটের পরিসংখ্যান নয়, এটি একটি কিংবদন্তির শেষ প্রদর্শনী।
এক নজরে-
চ্যাম্পিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস (২০০,০০০ ডলার)
রানার্সআপ: পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস (১০০,০০০ ডলার)
ম্যান অব দ্য ফাইনাল ও টুর্নামেন্ট: এবি ডি ভিলিয়ার্স
ফ্যান ফেভারিট লিজেন্ড: শারজিল খান
Discussion about this post