ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আগের দিনই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে নামতে হবে না তাদের। কারণ তৃতীয় দিন শেষে দল তুলে নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ২ উইকেট। মঙ্গলবার জিততে আর ৮ উইকেট দরকার ছিল বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের আবার ব্যাট করাতে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৮৬ রান। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংসে অলআউট ১৮৯ রানে!
প্রতিপক্ষের এমন মিশন ইমপসিবলে জয় হলো বাংলাদেশের। ইনিংস ব্যবধানেই হাসিমুখ টাইগারদের। দল জিতল ইনিংস ও ১০৬ রানে। একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি জিতে লঙ্গার ভার্সন ম্যাচের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
জয়ের মঞ্চ তৈরি থাকলেও বৃষ্টির শঙ্কা ছিল। মঙ্গলবার মিরপুরের আকাশও ছিল মুখ গোমড়া করে। হালকা বৃষ্টিও ঝরছিল। তাই বলে খেলা অবশ্য বন্ধ হয়নি। ফ্লাড লাইট দিয়েই চলেছে লড়াই। মুশফিক বলেছিলেন দুই সেশন চাই জিততে। বোলাররা তাই করলেন। স্পিনেই কাবু জিম্বাবুয়ে।
সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা তার মধ্যে সকালে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান নেন একটি করে উইকেট। এরপর মুমিনুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। লাঞ্চ শেষে উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। তাইজুল ইসলামের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সিকান্দার রাজাকে ফেরান মুশফিকুর রহিম।
এরপরই রেজিস চাকাভা ও টাইমাইসেন জুটির লড়াই থামালেন তাইজুল ইসলাম। তামিম ইকবালের দারুণ ক্যাচে আউট চাকাভা। ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। হার যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
স্পিনেই মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের কাবু করেছে টাইগাররা। নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এবার পেলেন পাঁচটি। আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামের শিকার ৪টি উইকেট। তাদের দাপটেই টেস্টে জয়ের মুখ দেখল দল। ৬ টেস্ট পর।
এবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ। ১ মার্চ সিলেটে প্রথম ম্যাচ। পরের দুটিও একই ভেন্যুতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৬৫/১০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৫৬০/৬ (ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৫৭.৩ ওভারে ১৮৯ (আগের দিন ৯/২) (মাসভাউরে ০, কাসুজা ১০, টিরিপানো ০, টেইলর ১৭, আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১, চাকাভা ১৮, এনডিলোভু ৪, টিশুমা ৩, নিয়াউচি ৭*; নাঈম ২৪-৬-৮২-৫, তাইজুল ২৪.৩-৭-৭৮-৪, আবু জায়েদ ৪-৩-৪-০, ইবাদত ৫-১-১৬-০)
ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম
Discussion about this post