ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সামনেই আসল লড়াই। সুপার সিক্সে শিরোপা যুদ্ধ। তার আগে রাউন্ড রবিন লিগে শেষ ম্যাচটা জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু এবার আর প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না। টানা ৬ জয়ে উড়তে থাকা রূপগঞ্জ এবার ছন্দ হারাল। সব হারিয়ে জয় পেল মোহামেডান ক্রীড়া চক্র। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার সিক্স থেকে ছিটকে যাওয়া দলটি দেখা পেল জয়ের।
শুক্রবার মোহামেডানের হয়ে শতরান করলেন কুসল মেন্ডিস। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটও কথা বল। তারপর বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে মোহামেডানকে জয় এনে দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার পথ ধরে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮০ রানে হারাল মোহামেডান।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান করেন ৩০৭ রান। জবাব দিতে নেমে ফের নাঈম ইসলামের ব্যাটে রান। ছোট্ট সময়ে ঝড় তুললেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তারপরও ২২৭ রানে থামল রূপগঞ্জ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাঈম ৮০ রান করেও জেতাতে পারলেন না দলকে। এই হারে তিনে থেকে সুপার সিক্সে উঠল মাশরাফির রূপগঞ্জ।
সুপার সিক্সে শীর্ষে থেকে উঠল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারা ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জিতে রয়েছে টেবিলের নাম্বার ওয়ানে। ১৮ পয়েন্ট ইমরুল কায়েসের দলের। তালিকার তিনে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। ২টি জয় কম নিয়ে তাদের অর্জন ১৪ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের পয়েন্টও সমান ১৪।
এদিকে মোট ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থেকে সুপার লিগে প্রাইম ব্যাংক। লিগের নতুন দল রূপগঞ্জ টাইগার্স পাঁচ নম্বরে। তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে সুপার লিগে উঠেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
এই ছয় দল লড়বে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে। যেখানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। লিগ পর্ব ও সুপার লিগের যৌথ পয়েন্টে নিশ্চিত হবে লিগের ভাগ্য। সুপার লিগ শুরু হচ্ছে ১৮ এপ্রিল। ১০ ম্যাচে পাঁচটি করে জয়-পরাজয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ৭ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করল মোহামেডান।
ছুটির দিনে শুক্রবার মোহামেডানের হয়ে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৯১ বলে ১০১ রান তুলেন মেন্ডিস। ৬৮ বলে ৭৬ রান করেন পারভেজ হোসেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৭ বলে ৭০। বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন নাজমুল অপু । রূপগঞ্জের হয়ে ৫০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলেছেন মেহেদি হাসান রানা।
বড় সংগ্রহের সামনে জবাব দিতে নেমে তৃতীয় বলেই শুভাগত হোম চৌধুরির বলে এলবিডব্লিউ তানজিদ হাসান। এরপরই তার স্পিনে বোল্ড হলেন চিরাগ জানি ও রকিবুল হাসান। ইরফান শুক্কুরও হতাশ করেন। ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রূপগঞ্জ। তারপর মাশরাফি অল্প সময় ঝড় তুলেন। ৪ ছক্কা ও এক চারে ১৬ বলে ৩০ রান করেন ম্যাশ। নাঈম শেষ অব্দি লড়ে ৮ চারে ৮০ রান তুলে থামেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৭.৫ ওভারে ৩০৭/১০ (রনি ৩১, পারভেজ ৭৬, মেন্ডিস ১০১, সৌম্য ২, মাহমুদউল্লাহ ৭০, মজিদ ৫, রুবেল ০, শুভাগত ১, সোহরাওয়ার্দী ৮, নাজমুল অপু ১, মাহমুদ ০*; নাবিল ৮-০-৫৯-১, আল আমিন ৫-০-৩৪-০, মেহেদি রানা ৭.৫-০-৫০-৪, মাশরাফি ৮-০-৪৬-১, নাঈম ৯-০-৫৩-০, চিরাগ ৫-০-৩৫-১, তানবীর ৫-০-২৪-২)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৯.১ ওভারে ২২৭/১০ (তানজিদ ১, রকিবুল ৩৩, চিরাগ ১২, নাঈম ৮০, ইরফান শুক্কুর ৭, সাব্বির ২১, তানবীর ২, মাশরাফি ৩০, মেহেদি রানা ৩, নাবিল ৬, আল আমিন ১৮*; শুভাগত ১০-০-৫৩-২, সোহরাওয়ার্দী ৯-০-৪৪-১, নাজমুল অপু ১০-২-৩৫-৫, মাহমুদ ৭-০-২৪-০, রুবেল ৬-০-৩২-১, সৌম্য ৬.১-০-২৮-১, রনি ১-০-৯-০)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৮০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: কুসল মেন্ডিস
Discussion about this post