ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তামিম ইকবাল এমনই। যেদিন তিনি খেলেন, সেদিন অন্যরা দর্শক হয়েই থাকে। দুর্দান্ত ব্যাট করলেন এই ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পেলেন ক্যারিয়ারসেরা স্কোর। একইসঙ্গে এই ম্যাচেই প্রথম টাইগার ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ হাজার রান ক্লাবে নাম লেখালেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করলেন এই রেকর্ড।
সিলেটের এই ম্যাচে ৭ হাজার থেকে ৮৪ রান দূরে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু করেন তামিম। তারপর পেয়ে গেলেন শতরান। ২০৪ ইনিংস খেলে ৭ হাজার পূর্ণ হয় তামিমের। ভারত ও পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় ও জাভেদ মিয়াঁদাদও ২০৪ ইনিংস খেলে করেন এই রান।
সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ৭ হাজার করার বিশ্বরেকর্ড হাশিম আমলার। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের লাগে ১৫০ ইনিংস। বিরাট কোহলি করেন ১৬১ ইনিংসে। তামিমের আগে আরও ৪০ ব্যাটসম্যান স্বাদ পেয়েছেন ৭ হাজার ওয়ানডে রানের।
এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৬ হাজার পূর্ণ করেন তামিম।৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ছুঁতে লেগেছিল তার ২১ ইনিংস। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ছুঁতে ১৭ ইনিংস।
সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেরিয়ে দেড়শ ছাড়িয়ে টপকে গেছেন নিজের রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড আবার লিখেছেন। ইনিংস শুরু করতে নেমে ৪৬তম ওভারে আউট হয়ে যখন ফিরছেন, তখন তার রান ১৫৮। ১৩৭ বলের ইনিংসে ২০ চারের সঙ্গে ছক্কা ৩টি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বুলাওয়েয়োতে করেন ১৫৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম
১ হাজার – শাহরিয়ার নাফীস ও এনামুল হক – ২৯ ইনিংস (দ্বিতীয় সৌম্য সরকার ৩৩)
২ হাজার – শাহরিয়ার নাফীস – ৬৫ ইনিংস (দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান ৬৯ ইনিংস)
৩ হাজার – তামিম ইকবাল – ১০২ ইনিংস (দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান ১০৫)
৪ হাজার – সাকিব আল হাসান – ১৩৬ ইনিংস (দ্বিতীয় তামিম ইকবাল ১৩৭ ইনিংস)
৫ হাজার – তামিম ইকবাল – ১৫৮ ইনিংস (দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান ১৬৮ ইনিংস)
৬ হাজার – তামিম ইকবাল – ১৭৫ ইনিংস (দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান ১৯০ ইনিংস)
৭ হাজার – তামিম ইকবাল – ২০৪ ইনিংস
দেখে নিন তামিমের ১ থেকে ৭ হাজার…
১ হাজার – ৩৭ ইনিংস
১ থেকে ২ হাজার—৩৩ ইনিংস
২ থেকে ৩ হাজার – ৩২ ইনিংস
৩ থেকে ৪ হাজার – ৩৫ ইনিংস
৪ থেকে ৫ হাজার – ২১ ইনিংস
৫ থেকে ৬ হাজার – ১৭ ইনিংস
৬ থেকে ৭ হাজার—২৯ ইনিংস
Discussion about this post