বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে আছেন সেই ২০১৬ সাল থেকেই। বোলিং কোচের দ্বায়িত্বটা দক্ষতার সঙ্গেই সামলাচ্ছেন তিনি। এবার কোর্টনি ওয়ালশের দায়িত্বটা আরো বেড়েছে নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের হেড কোচ করা হয়েছে তাকে। এমন দ্বায়িত্ব পেয়ে স্মৃতির বারান্দায় হাটলেন ক্যারিবায়ান এই কিংবদন্তি।
সেই ১৯৯৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ছিলেন রিচি রিচার্ডসন। ভারত সফরে আচমকা নেতৃত্ব দেয়া হয় ওয়ালশকে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করে এ পেসার করেন বাজিমাত। পরের সিরিজে ওয়ালশের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ জিতেওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রিচার্ডসন ফেরার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক সিরিজ পর নেতৃত্ব দেন ওয়ালশ। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই কিংবদন্তি বলছিলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি সেটা উপভোগ করেছিলাম এবং আমরা দলগত সাফল্যও পেয়েছিলাম। আমাকে এই মুহূর্তে ওই স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং আমার দায়িত্বও সচেতন করছে। আশা করছি ওই জিনিসটা এখানে নিয়ে আসতে পারবো এবং দলকে এগিয়ে নিতে পারবো। তাহলেই আমি খুশি হবো। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
হেড কোচের দায়িত্ব পেয়ে কোচিংয়ের ধরনও ঠিক করে ফেলেছেন ওয়ালশ। জানালেন, ‘ভূমিকাটা হবে পিতৃসুলভ। ছেলেদেরকে আত্মবিশ্বাস জোগানো। যারা ফর্মে নেই, তাদের ফর্মে ফিরতে বাড়তি যে কাজটা করতে হবে, সেটা করতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সবাইকে এটা মনে করতে হবে যে দলে তার ভূমিকা আছে। সবাইকে দলের জন্য খেলতে হবে এবং সেজন্য যা করা দরকার, করতে হবে। এটিই হবে আমার মন্ত্র।’
একইসঙ্গে ওয়ালশ বলছিলেন,‘আমি কোচিং স্টাফদের একজন হয়ে কাজটা করতে চাই। সুযোগটি এসেছে এবং সেটা লুফে নিয়ে আমি আমার কাজটা করতে চাই।’
Discussion about this post