নতুন মৌসুম শুরু হতেই গোল করে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। তবে তার নামের পাশে যুক্ত হলো আরও এক অনন্য অর্জন-তৃতীয়বারের মতো পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন এই মিশরীয় ফরোয়ার্ড, যা আগে কোনো ফুটবলারই পারেননি।
মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারে আয়োজিত জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সালাহর হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্মাননা। ৩৩ বছর বয়সী লিভারপুল তারকা এর আগে ২০১৮ ও ২০২২ সালে একই পুরস্কার জিতেছিলেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে লিভারপুলের শিরোপা জয়ে সালাহ ছিলেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নাম। ২৯ গোল করে হয়েছিলেন মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
১৮টি অ্যাসিস্ট দিয়ে গড়েন এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল অবদান রাখার রেকর্ড। নিশ্চিত করেন গোল্ডেন বুট, সিজনের সেরা প্লেমেকার এবং লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। একই মৌসুমে এই তিনটি পুরস্কার জয়ের নজির নেই প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে।
সালাহ নিজেও এই সাফল্যে আবেগাপ্লুত, বললেন, ‘মিশর থেকে উঠে এসে আজ এই পর্যায়ে দাঁড়ানো… ইতিহাস গড়া… সবকিছু আমাকে গর্বিত করে।’
পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড় বাছাই হয় ফুটবলারদের ভোটে। এবার ছয়জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে ৯২ ভোট পেয়ে সালাহ এগিয়ে যান। তালিকায় ছিলেন লিভারপুলের অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার, ম্যানইউর ব্রুনো ফের্নান্দেস, নিউক্যাসলের আলেকসান্দার ইসাক, আর্সেনালের ডেক্লান রাইস ও চেলসির কোল পামার।
পিএফএ’র বর্ষসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছে লিভারপুলের চারজন খেলোয়াড়-মোহাম্মদ সালাহ, অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার, ভার্জিল ফান ডাইক, রায়ান গ্রাভেনবার্চ। ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ম্যানচেস্টার সিটির কোনো খেলোয়াড় এই একাদশে নেই।
নারীদের পিএফএ বর্ষসেরা হয়েছেন আর্সেনালের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মারিওনা কালদেন্তি। প্রথম মৌসুমেই গানারদের হয়ে করেছেন ১৯ গোল। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, যেখানে হারিয়েছেন নিজের সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে। স্পেনের হয়ে ইউরো ফাইনালেও খেলেছেন তিনি।
Discussion about this post