এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ তৃপ্তিতে। গত রাতে হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিটন দাসের দল নিশ্চিত করেছে প্রথম জয়। তবুও ম্যাচ শেষে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে এক তরুণের ব্যাটিং নিয়ে-তিনি তাওহীদ হৃদয়।
৩৬ বলে ৩৫ রান, টি-টোয়েন্টির ভাষায় নিঃসন্দেহে ধীর ইনিংস। সমালোচকরা তাই প্রশ্ন তুলেছেন তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদ সম্মেলন-সবখানেই আলোচনায় হৃদয়ের ব্যাটিং। তবে তরুণ ব্যাটার এসব মন্তব্য এড়িয়ে না গিয়ে বরং সরাসরি স্বীকার করে নিলেন নিজের সীমাবদ্ধতা।
‘হ্যাঁ, আমার হানিমুন পিরিয়ড শেষ’-খোলাখুলি বললেন তিনি। এরপর যোগ করলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি। হয়তো কয়েকটা ম্যাচে ধুঁকেছি, ইনিংস বড় হচ্ছে না। কিন্তু এটা সব খেলোয়াড়ের জীবনেই আসে। কাজ করে যাচ্ছি, আশা করি সামনে ভালো করব।’
সংবাদ সম্মেলনে হৃদয়ের কণ্ঠে ছিল আত্মসমালোচনার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও। তার বিশ্বাস, মাত্র কয়েকটা বাউন্ডারিই খেলায় পরিবর্তন আনতে পারে, ‘টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় ছোট ইনিংসও বড় প্রভাব ফেলে। আমি জানি সংগ্রাম করছি। তবে যদি দুই-তিনটা বাউন্ডারি মারতে পারি, ম্যাচের চিত্রটাই বদলে যাবে।’
ম্যাচের পর আরেকটা আলোচনার বিষয় ছিল নেট রান রেট। দ্রুত শেষ করতে পারলে বাংলাদেশ আরও লাভবান হতো-এমন মন্তব্য উঠেছিল অনেকের মুখে। কিন্তু হৃদয়ের যুক্তি ভিন্ন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ম্যাচ নিশ্চিত করা। হ্যাঁ, আরেকটু আগে শেষ করা যেত। তবে জয়টাই আসল।’
হৃদয় জানালেন, প্রতিটি ম্যাচে জেতার মানসিকতা নিয়েই তারা মাঠে নামেন, ‘হংকংয়ের বিপক্ষে নামি কি হারের জন্য? অবশ্যই না। আমাদের টার্গেট সবসময় জয়। ছোট ফরম্যাটে যেকোনো কিছু হতে পারে। চেষ্টা করেছি, হয়নি। সামনে আরও সুযোগ আছে।’
গত বছর দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি-২১ ম্যাচে ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে প্রায় ৫০০ রান করেছিলেন। এ বছর সেই ধারাবাহিকতা নেই। এখন পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে তার রান মাত্র ২৬০, স্ট্রাইকরেট নেমে এসেছে ১০৮-এ। তবুও ভরসা হারাচ্ছেন না ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেখানে হকি নতুন রূপে দেখা যাবে তাওহীদ হৃদয়কে?
Discussion about this post