ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেখতে দেখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশবছর পূর্ণ করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু এখনো জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা পোক্ত করে নিতে পারেন নি। একবার বাদ পড়েন তো আবার জায়গা করে নেন একাদশে। এমন একটা অনিশ্চয়তা সঙ্গী করেই এগিয়ে চলছে তার ক্যারিয়ার। সেই ইমরুল কায়েসের হাত ধরেই রোববার দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৮ রানে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ম্যাচে ইমরুল খেলেন ১৪০ বলে ১৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ক্যারিয়ারে তারপরও একটা স্বস্তি আসবে কীনা নিশ্চিত নয়। অবশ্য ক্যারিয়ারের তিন নম্বর সেঞ্চুরিটা হাঁকানো ইমরুল এনিয়ে ভাবতে রাজী নন। জানিয়ে রাখলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক ক্রিকেটারের একই সময়ে অভিষেক হয়েছে। তাদের অনেকে এখন আলোচনায় নেই। আমার মনে হয় যে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি যে, আমার ক্যারিয়ার এত কম সময়ে শেষ হতে পারে না। আমি সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখি। তাছাড়া যতদিন খেলব, জাতীয় দলে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখব। যেদিন হয়তো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, সেদিন নিজেই বলব বিদায়।’
২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ইমরুলের। চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। তারপর গত দশ বছরে ৭৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। কিন্তু দলে ধারাবাহিকভাবে জায়গা ছিল না। এনিয়ে ইমরুল বলছিলেন, ‘দেখুন, এসব বলতে চাই না। আমি এখন আমি ভালো খেলেছি, এটাই বড় ব্যাপার। যখনই সুযোগ পাই, চেষ্টা করি ভালো খেলার। বাকিটা যে যেভাবে নেয়, তাদের ব্যাপার। আমি চেষ্টা করি, সুযোগ পাওয়ার জন্য। যখন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই তখনই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। দেশের হয়ে খেলা অনেক সম্মানের।’
ইমরুল কায়েসের অনুপ্রেরণার নাম মুশফিকুর রহীম। বলছিলেন, ‘একটা ব্যাপার বিশ্বাস করি, কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করে, সে তার ফল পাবেই। আমি মুশফিককে দেখে অনেক কিছু শিখি। মুশফিক যেভাবে পরিশ্রম করে, ও কিন্তু পরিশ্রম করেই আজকের মুশফিকুর রহিম হয়েছে। আমি সবসময় এটা অনুসরণ করার চেষ্টটা করি। বিশ্বাস করি-পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যায়।’
বুধবার বন্দর নগরীতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়বে টাইগাররা। সেখানেও ব্যাট হাতে সাফল্য চাইছৈন ইমরুল।
Discussion about this post