২০০১ সালের পর ঘরের মাঠে আবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লো বাংলাদেশ। আজ সিলেটে, একেবারেই দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগারদের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল দিনের শুরুতে খানিকটা ধৈর্যের পরিচয় দিলেও সেটা বেশিক্ষণ টেকেনি। ওপেনার সাদমান ইসলাম (১২) ও মাহমুদুল হাসান জয় (১৪) ফেরেন খুব কাছাকাছি সময়ে, দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৩০ পেরিয়েছে।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক দলের হাল ধরেন। লাঞ্চের আগেই ৫২ রানের কার্যকর জুটি গড়ে কিছুটা স্থিতি আনেন তারা। শান্ত ৪০ রান করে আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের ইনিংস ছন্নছাড়া রূপ নেয়। শান্তর বিদায়ের পর হতাশ করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি। অপরপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল হক, তুলে নেন নিজের ২২তম টেস্ট অর্ধশতক, শেষ পর্যন্ত ৫৬ রান করে আউট হন মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হন মাত্র ১ রান করে, আর জাকের আলি ২৯ রান করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
অষ্টম উইকেট জুটিতে জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ গড়েন ৪১ রানের জুটি। তবে হাসান ফিরেন ১৯ রান করে। এরপর আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় মাত্র ১৯১ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি নেন ৩টি করে উইকেট। ভিক্টর নিয়াউচি ও ওয়েসলি মাদেভেরে ভাগাভাগি করে নেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১/১০ (জয় ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ ০; এনগারাভা ১৪-২-৩৭-০, মুজারাবানি ১৯-৪-৫০-৩, নিয়াউচি ১৫-২-৭৪-২, মাধেভেরে ৩-২-২-২, মাসাকাদজা ১০-৪-২১-৩)
Discussion about this post