এরচেয়ে বাজে শুরু বুঝি হতেই পারতো না। চট্টগ্রামে দুর্দান্ত খেলার পর ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের সকালটাই যে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকল। দলের যখন ৬ রান তখনই নেই দুই ওপেনার। কাসুন রাজিথার করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড মাহমুদুল হাসান। আসিথা ফার্নান্দোর করা পরের ওভারের চতুর্থ বলে তামিম আউট।
প্রথম ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনার ফিরলেন শূন্য রানে। চুপসে যায় মিরপুরের গ্যালারি। টস হেরে বল করতে নেমেও দাপট শ্রীলঙ্কার। সোমবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় মুমিনুল হকের বাংলাদেশ।
নিজেদের মাঠে দুই ওপেনার কিছুই করতে পারলেন না। অথচ আগের টেস্টেই সফল দু’জন। অবশ্য বাংলাদেশের দুই ওপেনারের শূন্য এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার দেখা গেল এমন অনাকাংখিত দৃশ্য। আর এখানে প্রত্যেকবারই ছিলেন তামিম। তিনবারে তার সঙ্গী তিনজন ওপেনার।
এই মিরপুরের মাঠে প্রথমবারের মত ২০১০ সালে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তামিম-ইমরুল কায়েস। ভারতের বিপক্ষে সেবার দ্বিতীয় ওভারে তামিমকে বোল্ড করেছিলেন পেসার জহির খান। ইমরুলকে ফেরান ইশান্ত শর্মা। এরপর ২০১৪ সালে প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এই মিরপুরেই তখন তামিমের সঙ্গী শামসুর রহমান শুভ। চতুর্থ ইনিংসের তৃতীয় ওভারে চিগম্বুরার বলে টেলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট তামিম। পানিয়াংগারার করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বোল্ড শামসুর রহমান!
তামিম-জয়ের ব্যর্থতার দিনে সোমবার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে সম্মান রক্ষা। বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে রান। অর্ধশতকে লড়ছেন দু’জন!
Discussion about this post