অল্পতেই রক্ষা পেয়ে গেল মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাব ও দলটির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুনানিতে অবশ্য ক্লাবটি স্বীকার করেছে তারা জৈব-সুরক্ষা ভেঙেছে। তারপরও কোনো শাস্তি পেতে হয়নি। দুঃখ প্রকাশ করেই পার পেয়ে গেছে দলটি। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন পুনরাবৃত্তি না করার জন্য মোহামেডান ক্লাবকে নোটিশ দিয়েছেন তারা।
গত ৪ জুন মোহামেডানের অনুশীলনে সুরক্ষা-বলয় ভাঙার সম্ভাব্য ঘটনাটি ঘটেছে। সেদিন বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যান মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। তার সঙ্গে ছিলেন কোচ মেহরাব হোসেন, ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ ও কয়েকজন নেট বোলার। যেখানে ঢুকে পড়েন এক ক্রিকেটপ্রেমী। যিনি দলের কেউ ছিলেন না।
এরপর গত ৫ জুন এক বিবৃতিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অনুশীলনে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু করার কথা জানায় ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা সিসিডিএম। গত মঙ্গলবার হয়েছে শুনানি। এরপর বুধবার এক ভিডিও বার্তায় কাজী ইনাম জানালেন, সুরক্ষা বলয় ভঙ্গের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মোহামেডান।
কাজী ইনাম বলেন, ‘আমাদের বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস, বিসিবি প্রধান নির্বাহী (নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন), সিসিডিএমের সদস্য সচিব (আলী হোসেন) ও মোহামেডানের টপ ম্যানেজম্যান্ট এবং সাকিব আল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অপ্র্যতাশিতভাবে যেটা ভঙ্গ হয়েছে এটা নিয়ে তারাও সতর্ক, তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।’
যদিও এর আগে বলেছিলেন, ঘটনা তদন্ত করে তারা ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শাস্তি হয়নি। কাজী ইনাম বলেন, ‘আমরা বিসিবি থেকে ও সিসিডিএম থেকে নিশ্চিত করতে চাই যে, সামনে টুর্নামেন্ট যেন নিরাপদে হয়। এটা নিশ্চিত করতে আমরা সব ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বায়ো বাবলের মেইনটেন্স যেন ঠিক থাকে সেটা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি। সামনে যেন এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে এর জন্য মোহামেডান ক্লাবকেও একটা নোটিশ আমরা দিব। আশা করছি, আমরা টুর্নামেন্টটি সফলভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
জানা গেছে, অনুশীলনে বল করার জন্য এসেছিলেন মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমির দু্ই জন। তাদের সঙ্গী হয়ে ছিলেন আরও একজন। সাদা শার্ট পরা বাইরের সেই ব্যক্তি মোবাইলে ছবি তুলেছেন। নেট বোলারদের সংস্পর্শে যাচ্ছিলেন। সাকিবের এক ঘণ্টার নেট সেশনে ছিলেন তারা। অথচ করোনা কালে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বেশ কড়াকাড়ি অবস্থানে বিসিবি। নিজস্ব খরচে এ বলয় তৈরি করেছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ১২ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, সাপোর্টিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট ও অফিসিয়ালদের রাখা হয়েছে ঢাকার চারটি বিলাবহুল হোটেলে।
এদিকে মোহামেডানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে জানানো হয়েছে, এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করবে না তারা।
Discussion about this post