বৃহস্পতিবার রাত দশটায় ব্লুমফন্টেইনে লেখা হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন ইতিহাস। নতুন অধিনায়কের নতুন যুগে পা রাখবে দেশের ক্রিকেট। যদিও দেশের ক্রিকেটে এক অধিনায়কের সংস্কৃতিই ছিল। যিনি টেস্টে, ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় দুই অধিনায়কের হাত ধরে যাত্রা। এবার সাকিব আল হাসানের হাত ধরে তিন ফরম্যাটে দেশ পেল তিন অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে বললে তিনি অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও বিদায় নেন। এরপর ২২ এপ্রিল বিসিবির বোর্ড সভার সিদ্ধান্তক্রমে সাকিবকে টি-টুয়েন্টিতে অধিনায়ক করা হয়।
সাকিব অবশ্য ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নয়টি টেস্ট, ৫০টি ওয়ানডে ও চারটি টি-টুয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। দল জিতেছে এক টেস্ট ও ২৩টি ওয়ানডে।
এমনিতে ক্রিকেট বিশ্বে তিন অধিনায়ক তত্ত্ব অনেক আগে থেকে থাকলেও বাংলাদেশে এটি এবারই প্রথম। টেস্টে মুশফিকুর রহীম আছেন অনেক দিন ধরেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মতুর্জা। আর টি-টুয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ ওভারের এই ম্যাচটি খেলার আগে সাহস দিলেন তিনি। বলেন, ‘দেখুন, আমি তো চাই, সবাই নিজের সেরা পারফরম্যান্স করুক। তবে সবাই যে ভালো করবে এমন কোনো কথাও নেই। নিজের সেরাটা দিয়ে লড়লে জয় অসম্ভব নয়।’
প্রোটিয়া সফরে টেস্ট আর ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশের যন্ত্রনায় নীল হয়েছে বাংলাদেশ। সেই ব্যর্থতা মুছতেই এবার টি-টুয়েন্টির লড়াই।
Discussion about this post