ত্রিদেশীয় যুব সিরিজে ফাইনালের আগে একরকম মহড়া দিয়েই রাখল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ১৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার প্রমাণ করল-এই দল শুধু ফাইনালে উঠতেই চায় না, শিরোপার জন্যও পুরোপুরি প্রস্তুত। আজিজুল হাকিম তামিম এই জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা খুব ভালো ছিল না। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়া ওপেনার জাওয়াদ আবরার এদিনও ব্যর্থ হন, ফেরেন মাত্র ৫ রানে। তবে এরপরই দৃঢ়তায় ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। রিফাত বেগ ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম গড়েন ১১২ রানের কার্যকরী জুটি, যা দলের ভিত গড়ে দেয়।
রিফাত খেলেন ধীর-স্থির কিন্তু কার্যকর এক ইনিংস। ৭৮ বলে ৭৭ রান করেন তিনি, হাঁকান ১০টি চার ও একটি ছক্কা। তামিমও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে করেন ৩৪ রান। এরপর রিজান হোসেন ২৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটে আসে ২টি চার ও ১টি ছক্কা।
মাঝে উইকেটে নেমে ধীরে কিন্তু কার্যকর ব্যাটিং উপহার দেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-৪৫ বলে ৩৭ রান। তবে ইনিংসের শেষ অংশে ম্যাচের চিত্রটাই বদলে দেন দেবাশিষ দেবা। শেষ ৫ ওভারে রীতিমতো আগুন ঝরান তিনি। ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি বিশাল ছক্কা ও ১টি চার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই পেসার শাহরিয়া আল-আমিন ও সানজিদ মজুমদারের দারুণ বোলিংয়ে ধস নামে তাদের ব্যাটিং লাইনআপে। ১৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে স্বাগতিকরা।
এরপরও স্বস্তি ফেরেনি। উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। মধ্য ওভারে রিজান হোসেন একাই তুলে নেন ৩টি উইকেট, এর মধ্যে একটি ওভারেই নেন দুটি। বেনি জুজ ৪৭ ও ব্লিগনট ৩০ রান করলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি কেউ। জিম্বাবুয়ে থেমে যায় মাত্র ১২৪ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন অধিনায়ক তামিম ও রিজান, দুজনেই ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন আল-আমিন।
রোববার ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের সঙ্গে।
Discussion about this post