বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি এখনো সক্রিয়। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, তামিমকে সংগঠক হিসেবে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। যদিও এ বিষয়ে তিনি নিজে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
বিসিবিতে তামিমের আসার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। আজ বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বোর্ডে আসা নির্ভর করে ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর। যেমন আমি খেলা শেষ করার পর বোর্ডে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনেকে আসতে চায় না। তবে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, যারা খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত, তারা বোর্ডে আসলে ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। নাজমুল হোসেন শান্ত বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে গুঞ্জন ছিল, অন্তত দুই ফরম্যাটে নেতৃত্ব ছাড়তে চান তিনি। তবে বিসিবির সর্বশেষ বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।
তিনি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে যে ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দেবে, তাকে পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। পারফরম্যান্স করতে পারলেই নেতৃত্ব ধরে রাখা সম্ভব।’
বাংলাদেশ দলে অধিনায়কত্বের জন্য বিকল্প অপশনও কম বলে মনে করেন তিনি, ‘অন্যান্য দেশে তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক থাকলেও বাংলাদেশে অধিকাংশ খেলোয়াড় সব ফরম্যাটেই খেলে। আমাদের দলে বিকল্প কম, তাই তিনজন আলাদা অধিনায়ক করা কঠিন।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। একটিও ম্যাচ না জিতেই গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলকে। বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুরো টুর্নামেন্টে রান পাননি মুশফিকুর রহিম, আর এক ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ব্যর্থ হন। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান মনে করেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাদের নিজেদেরই।
তিনি বলেন, ‘সিনিয়রদের আমরা সম্মান করি। একজন খেলোয়াড়ই সবচেয়ে ভালো জানে, সে কতদিন খেলতে পারবে। তবে দলে থাকতে হলে পারফর্ম করতেই হবে। সিদ্ধান্ত তাদের নিজেদের নেওয়া উচিত, আর যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা বসে আলোচনা করতে পারে।’
Discussion about this post