বাংলাদেশের ক্রিকেটে কালো মেঘের ছায়া নেমে এসেছিল গতকাল (সোমবার)। ডিপিএল ম্যাচ চলাকালীন হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর সফল অস্ত্রোপচার শেষে এখন তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে অন্তত তিন মাসের বিশ্রামে থাকতে হবে।
সাভারের কেপিজি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ তামিমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন—”শুরুতে তামিমের হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছিল না, তার অবস্থা ছিল খুবই সংকটাপন্ন। ডাক্তারদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় তিনি ফিরে এসেছেন, তবে তখন তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা মাত্র ১% ছিল। এটা একেবারেই রেয়ার ঘটনা।”
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, “আমরা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর দিতে চাই—তামিম এখন আগের তুলনায় ভালো আছেন। তবে তাকে অন্তত তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এখনই কোনো ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।”
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী, তামিমকে অন্তত তিন দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে বাসায় নেওয়া হতে পারে। তবে তিনি কমপক্ষে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকবেন এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার বলেন, ‘তামিম শিগগিরই মাঠে ফিরতে চান, তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য তার পূর্ণ সুস্থতা। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে তিন মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে।’
তামিম ইকবালের অসুস্থতার খবরে শুধু ক্রিকেটাররা নয়, পুরো দেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা জানান, ‘তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় সম্পদ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তামিমের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই উন্নতির দিকে। তবে ক্রিকেটে ফেরার আগে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একটাই আশা করছে-তামিম দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও ব্যাট হাতে মাঠে নামবেন, যেমনটা তিনি বরাবরই করেছেন!
Discussion about this post