ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজকের ম্যাচগুলোতে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়ালেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাসির হোসেন। বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তুলে নিলো বড় জয়, আর মিরপুরে ফিরে এলেন নাসির—তার দল রূপগঞ্জ টাইগার্স পেল মর্যাদার জয়।
তানজিদের ঝলকে রূপগঞ্জের দাপুটে জয়
বিকেএসপিতে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টস হেরে আগে ব্যাট করে মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পারটেক্স, যেখানে রুবেল মিয়া করেন ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান। আহরার আমিনের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
রূপগঞ্জের হয়ে বল হাতে দাপট দেখান মেহেদী হাসান—৪ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট। শরিফুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান নেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে রূপগঞ্জ কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৮.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। মূল নায়ক ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। মাত্র ৫৯ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় লিস্ট–এ ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার। অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। সাইফ হাসান থাকেন ২১ রানে অপরাজিত।
এই জয়ে রূপগঞ্জ ৯ ম্যাচে ৫ জয় (১১ পয়েন্ট) নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে।
নাসিরের ফেরার ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের দ্বিতীয় জয়
দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরলেন নাসির হোসেন, আর তাঁর নেতৃত্বে রূপগঞ্জ টাইগার্স হারালো শক্তিশালী গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৮ উইকেটে।
প্রথমে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে ৬৬ বলে ৩১ রান করেন তাহজিবুল ইসলাম, ২৪ রান আসে শামীম মিয়ার ব্যাট থেকে। টাইগার্সের হয়ে মহিউদ্দিন তারেক নেন ৩ উইকেট, নাসির নেন ১ উইকেট ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩৮ রান তুলে নেয় টাইগার্স। অমিত মজুমদার খেলেন ৯৮ বলে ৭৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। আবদুল মজিদ ৭৯ বলে ৫৩ রান করে আহত অবসরে যান। শেষে নাসিরও ব্যাট করতে নামেন, ১১ বলে ৯ রান করে আউট হন।
টাইগার্স জয় পায় মাত্র ৩৫.৪ ওভারে, যা তাদের নবম ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, গাজী গ্রুপ তিনে নেমে গেছে। ৭ জয় নিয়ে দুইয়ে এখন মোহামেডান।
অগ্রণী ব্যাংকের উত্থান
আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ব্রাদার্স ব্যাট করে তোলে ৯ উইকেটে ২৩৮ রান। অলক কাপালি করেন ৫৮, মিজানুর রহমান যোগ করেন ৪৪ রান।
অগ্রণীর হয়ে তাইবুর রহমান ১০ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন। রুয়েল মিয়া ও আরিফ আহমেদ পান দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় অগ্রণীর হয়ে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন শুভাগত হোম—৩৫ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান ৪৮.৪ ওভারে। সাদমান ইসলাম (৪৪) ও মার্শাল আইয়ুব (৪১) ছিলেন আরেকটি বড় অবদানকারী।
Discussion about this post