কঠিন এক মিশনের মুখে দাঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দল। এমন এক লক্ষ্য যা এর আগে টপকে যাওয়ার কল্পনাও করেনি। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে লাল-সবুজের। রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বরেকর্ড ৪১৮ রান। কিন্তু বাংলাদেশকে যে করতে হবে আরও বেশি। ৪৩৭ রান।
রোববার ক্যান্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে লাঞ্চ বিরতির পর ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে থামে।
ইনিংসে তাইজুল ইসলাম পেলেন পাঁচ উইকেট।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে ৪ ওভারের মধ্যে তিনটি উইকেট চলে যায় শ্রীলঙ্কার। তাইজুলের বলে সুরঙ্গা লাকমল আউট হতেই ১৯৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। আগের ইনিংসের ২৪২ রানসহ শ্রীলঙ্কার লিড দাঁড়ায় ৪৩৬ রানে।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ দল অলআউট ২৫১ রানে। নিয়ম মোতাবেক বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়লেও, তা করাননি শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। ২৪২ রানের বিশাল লিড নিয়ে নিজেরাই নামে ব্যাটিংয়ে।
৪৩৭ রান তারা করে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। এর আগে কোনো দল এত রান তাড়া করে জেতেনি। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। আর এই ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে ৩৭৭ রান তাড়া জেতার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের। সন্দেহ নেই অতিমানবীয় কোন ইনিংসই হয়তো বাঁচাতে পারে টাইগারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৯.২ ওভারে ৪৯৩/৭ (ডি.) (আগের দিন ৪৬৯/৬) (ডিকভেলা ৭৭*, মেন্ডিস ৩৩, আবু জায়েদ ২২-৪-৬৯-০, তাসকিন ৩৪.২-৭-১২৭-৪, মিরাজ ৩৬-৭-১১৮-১, শরিফুল ২৯-৬-৯১-১, তাইজুল ৩৮-৭-৮৩-১)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৩ ওভারে ২৫১ (তামিম ৯২, সাইফ ২৫, শান্ত ০, মুমিনুল ৪৯, মুশফিক ৪০, লিটন ৮, মিরাজ ১৬, তাইজুল ৯, তাসকিন ০, শরিফুল ০, আবু জায়েদ ০*; লাকমল ১০-০-৩০-২, বিশ্ব ৭-১-১৯-০, ম্যাথিউস ২-০-৭-০, মেন্ডিস ৩১-৭-৮৬-২, জয়াবিক্রমা ৩২-৭-৯২-৬, ধনাঞ্জয়া ১ -০-৬-০)।
শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ইনিংস- ১৯৪/৯ ডিক্লে.
Discussion about this post