মাঠের লড়াইয়ে ফরচুন বরিশাল দেখিয়ে চলেছে দাপট। আজ মিরপুরে ১৯ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে রীতিমতো রেকর্ড গড়ল তারা।
ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৯ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে তামিম ইকবালের বরিশাল। ৮১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল। বিপিএলে এটিই বেশি বল বাকি থাকতে জয়। ২০১৭ সালের আসরে সিলেট সিক্সার্সের ১০২ রানের লক্ষ্য ৭৩ বল বাকি থাকতে তুলে ফেলে ঢাকা ডায়নামাইটস।
এদিন ঢাকার ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হওয়ার পর বরিশাল মাত্র ৬.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয়। এ জয়ে বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে এবং সেরা দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করেছে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৫.৩ ওভারে অলআউট হয়ে ৭৩ রান তুলে ঢাকা ক্যাপিটালস। জবাবে নেমে ৬.৩ ওভারে জয় তুলে নেয় তামিম ইকবালের বরিশাল।
ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৫ রানই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর, যা অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে তানভির ইসলাম, মোহাম্মদ নাবি ও ফাহিম আশরাফ বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন। তানভির মাত্র ২ ওভারে এক মেডেনসহ ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাওহিদ হৃদয় শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিলেন, তবে ১৫ রান করে আউট হন। দাভিদ মালান মাত্র ১৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে সহজ জয় এনে দেন। তামিম ইকবাল ২১ রানে অপরাজিত। মাত্র ৬.৩ ওভারে ৭৭ রান করে বরিশাল ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয়।
এই জয়ে বরিশাল ১১ ম্যাচে ৯টি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল। সেরা দুই দলের একটি হিসেবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ নিশ্চিত করল। ১১ ম্যাচে মাত্র ৩টি জয় নিয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে শাকিব খানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৫.৩ ওভারে ৭৩/১০ (তানজিদ ৭, লিটন ১০, রিয়াজ ০, কোটজি ৫, সাব্বির ৭, মোসাদ্দেক ২, পেরেরা ১৫, নাজমুল ০, বিটন ১০, মুস্তাফিজ ২, মেহেদি ৪*; ইবাদত ৪-০-২৪-০, নাবি ৪-০-৯-৩, তানভির ২-১-২-৩, ফুলার ৩-০-১৮-১, ফাহিম ২.৩-০-১৫-৩)
ফরচুন বরিশাল: ৬.৩ ওভারে ৭৭/১ (তামিম ২১*, হৃদয় ১৫, মালান ৩৭*; মুস্তাফিজ ২-০-১৬-১, মেহেদি ২-০-২৩-০, মোসাদ্দেক ১-০-৬-০, বিটন ১-০-২০-০)
ফল: ফরচুন বরিশাল ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: তানভির ইসলাম
Discussion about this post