আগেই ঘোষিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ২৫ মে। কিন্তু ঠিক একই দিনে মাঠে গড়াবে পিএসএলের ফাইনাল। এমন সূচির দ্বন্দ্বে পড়ে বাংলাদেশ সিরিজের ভাগ্য এখন শঙ্কার মুখে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন নিয়ে চলছে প্রস্তুতি, সেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে-১৭ মে থেকে আবার শুরু হচ্ছে পিএসএলের বাকি অংশ। আটটি ম্যাচের এই নতুন সূচি অনুযায়ী, ফাইনাল হবে ২৫ মে। যার অর্থ, একই দিনে দুই ভিন্ন স্তরের ক্রিকেট আয়োজন করতে হবে পিসিবিকে-যা বাস্তবতায় রীতিমতো অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জ।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে। পাকিস্তানের জাতীয় দলে যাঁরা নিয়মিত, তাঁদের অনেকেই পিএসএলের বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একসঙ্গে দুই জায়গায় খেলাটা তো সম্ভব নয়! তাছাড়া নিরাপত্তা, সম্প্রচার এবং লজিস্টিকসের বাস্তবতা মাথায় রাখলেও বোঝা যাচ্ছে-এই দুটি ইভেন্ট একই দিনে করাটা দুঃসাধ্য।
বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিও চলছিল নির্ধারিত সূচিকে ঘিরেই। মিরপুরে শেষ হয়েছে অনুশীলন ক্যাম্প। সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। তবে হঠাৎ সূচি সংশোধনের সম্ভাবনায় বিসিবির পক্ষ থেকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে।
পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু তালিকায় বাংলাদেশ সিরিজের প্রস্তাবিত শহর ফয়সালাবাদ না থাকলেও, একই দিনে ফাইনাল আয়োজন মানেই জাতীয় দলের ম্যাচে অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ হবে। পিএসএলের কারণে পিছিয়ে গেলে পাকিস্তান দলের সূচি কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে সহসাই!
Discussion about this post