ট্রেন্টব্রিজে শুরু হওয়া অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি ছিল পেস বোলারদের। তাদের দাপটে অসহায় ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনে পতন হওয়া ১৪টি উইকেটই পেয়েছেন তারা।
বুধবার টস জিতেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। বিনা দ্বিধায় ঠিক করেন ব্যাটিং করবেন। কিন্তু চা বিরতির সামান্য পর তার ওই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েই ফিরে এসেছে। মাত্র ৫৯ ওভারে ২১৫ রানেই শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের এ অবস্থার জন্য মূলত দায়ী অজি পেসার পিটার সিডল। ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনি একাই ধসিয়ে দেন ইংলিশ টপ ও মিডল অর্ডারকে।
তবে ইংল্যান্ডকে ২১৫ রানে আটকে রেখে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও ভালো হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতেই ইংলিশ বোলাররা আঘাত হানেন। ৫ ওভারের মধ্যেই ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশ পেসার স্টিফেন ফিন টানা দুই বলে ফিরিয়ে দেন ওয়াটসন ও কাওয়ানকে।
সিডলের ‘সিডরে’ বিপর্যস্ত ইংল্যান্ডকে পরে শেষ করে দেন অন্য দুই পেসার জেমস প্যাটিনসন ৩ ও মিচেল স্টার্ক ২ উইকেট নিয়ে। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের দায়, শুরু করেও কারোরই বড় রান না পাওয়া। টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করেছেন। অথচ হাফসেঞ্চুরিও কারও নেই। প্রথম ছয়ে শুধু জোনাথন ট্রট করে যান ৪৮ রান। বড় কোনো জুটিও হয়নি, অতএব বড় পুঁজির ভিতও গড়ে ওঠেনি ইংল্যান্ডের।
এরপর ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে অজিরা। ১৯ রান তুলতেই ২ উইকেট শেষ! সবমিলিয়ে দিনশেষে ৪ উইকেটে ৭৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২১৫/১০ (কুক ১৩, রুট ৩০, ট্রট ৪৮, পিটারসেন ১৪, বেল ২৫, বেয়ারস্টো ৩৭, ব্রড ২৪; সিডল ৫/৫০, প্যাটিনসন ৩/৬৯, স্টার্ক ২/৫৪)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৭৫/৪ (স্মিথ ৩৮, রজার্স ১৬; অ্যান্ডারসন ২/২৫, ফিন ২/৩৭)
Discussion about this post