বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও একটি অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। এবার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অধ্যায় শেষ আসছে শনিবার। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে গুডবাই বলবেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিলেন রিয়াদ। বুধবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ। তার আগে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, সিরিজ শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন।
এর আগে টেস্ট ক্রিকেটকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে। তখন কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। এবার ঘোষণা দিয়ে ২০ ওভারের আন্তজাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমি অবসর নিচ্ছি টি-টেয়েন্টি থেকে। এটাই আমার শেষ সিরিজ। আসলে এখানে আসার আগেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। কোচ-ক্যাপ্টেন সবাই জানত। আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ।’
৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহর ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও রিয়াদের। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন।
রিয়াদ মনে করেন ঠিক সময়ে সরে যাচ্ছেন তিনি, ‘আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ।’
ভারত সফরে যাওয়ার আগেই অবসর ভাবনা ছিল তার। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ভারত সিরিজের আগে অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিল এটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
Discussion about this post