দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঠিকই ঘুরে দাঁড়াল রাজশাহী কিংস। চিটাগং ভাইকিংসকে হারিয়ে শেষ চারের আশা টিকিয়ে রাখল দলটি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে জিতেছে ড্যারেন স্যামির দল। ১০ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে দলটি উঠে এসেছে ৫ নম্বরে। সমান ম্যাচে সপ্তম হারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শেষ চারের আশা ভাঙল চিটাগংয়ের। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে তলানিতে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে রাজশাহী। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪ বল বাকি থাকতে ১৩৩ রানে অলআউট চট্টগ্রাম।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পেসার হিসেবে সুনাম কুঁড়িয়েছেন কাজী অনিক। দলের প্রয়োজনে বুধবার তাকে মাঠে নামলো রাজশাহী। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করলেন তিনি। ৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাতেই রাজশাহীর দেওয়া ১৫৭ রানের জবাব দিতে যেয়ে ১২৪ রানে অলআউট চিটাগং ভাইকিংস। তাইতো ৩৩ রানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে গেল পদ্মাপাড়ের দলটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ড্যারেন স্যামি (৪০), মুশফিকুর রহিম (৩১) ও জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের (৩০) ছোট ইনিংসগুলোতেই ১৫৭ রান তুলতে পেরেছিল রাজশাহী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৫৭/৬ (মুমিনুল ৭, রাইট ২৫, জাকির ১৭, মুশফিক ৩১, ফ্র্যাঙ্কলিন ৩০, স্যামি ৪০, মির ২*, মিরাজ ০*; রাজা ০/৩, ত্সকিন ১/৩৬, এমরিট ০/২৭, রিস ৩/৩৩, সানজামুল ০/২৬, তানবীর ০/৯, নাঈম ১/৯, সৌম্য ০/১৩)
চিটাগং ভাইকিংস: ১৯.৪ ওভারে ১২৪ (রনকি ৮, সৌম্য ১৩, এনামুল ২৩, ফন সিল ২৭, রাজা ১৭, রিস ৩, তানবীর ১৩, এমরিট ১, সানজামুল ১. নাঈম ২*, তানকিন ১; সামি ১/২৯, মুস্তাফিজ ২/১৮, মিরাজ ০/৩৩, মির ১/১৫, অনিক ৪/১৭, ফ্র্যাঙ্কলিন ০/১০)
ফল: রাজশাহী ৩৩ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ড্যারেন স্যামি
Discussion about this post