ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
কোনভাবেই নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারছে না মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তাইতো শনিবার দলটি দেখল টানা ষষ্ঠ হার। এরফলে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে। অন্যদিকে চলতি টুর্নামেন্টের লিগ পর্ব জয় দিয়ে শেষ করলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের শেষ ম্যাচ রাজশাহীকে ৩৬ রানে হারিয়েছে দলটি।
আগেই প্লে-অফে ওঠা নিশ্চিত হয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। তারপরও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে দাপট দেখাল মোহাম্মদ মিথুনের দল। আগে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস শুরুটা করেন দারুণ। শেষদিকে সামছুর রহমান শুভর ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। পরে বল হাতে শুরু থেকেই মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে বড় পরীক্ষা নিতে থাকেন স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। পরে জিয়াউর রহমান প্রতিপক্ষের জয়ের আশা গুড়িয়ে দেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার আগে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য (৪৮ বলে ৬৩), লিটন (৪৩ বলে ৫৫) ও সামছুরের (১৮ বলে ৩০) ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে চট্টগ্রাম। পরে রাজশাহীর ৮ উইকেট তুলে নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৯ রানে থামিয়ে দেয় চট্টগ্রামের বোলাররা। নাহিদুল ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। এদিকে ১৭ রানে ২ উইকেট নেন জিয়া। এছাড়া রকিবুল, শরিফুল ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।
শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী হারলেও এখনই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে ছিটকে পড়ছে না। দলটি অপেক্ষায় আছে পরের ম্যাচে বরিশালের হারের। কেননা সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের ব্যবধানে বরিশালের চেয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী।
বঙ্গবন্ধু কাপের লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার চট্টগ্রামকে ১৪.৫ ওভারে ১২২ রানের দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন সৌম্য ও লিটন। এরপর সৌম্য ৬৩ রান করে ফিরে যান আনিসুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস (৫৫) ও মোহাম্মদ মিথুন। ব্যাট হাতে এদিন তেমন কিছু করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ দিকে অবশ্য জ্বলে ওঠেন সামছুর রহমান। তাকে বেশ সঙ্গ দেন জিয়াউর রহমান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা সংগ্রহ করেন ১৫ বলে ৪৩ রান। শেষ পর্যন্ত তাদের এ ঝড়ো ব্যাটিংই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়।
জবাব দিতে নেমে শনিবার শুরুতেই ওপেনার আনিসুলকে হারায় রাজশাহী। দলীয় ১০ রানে নাহিদুল ইসলামের বলে ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ মারতে এসে স্ট্যাম্পিং হন আনিসুল । এদিকে মাত্র ১১ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন মান্ত। দলের অধিনায়কের বিদায়ের পর দলীয় ১০ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরেন রনি তালুকদার (১৬)। ফজল মাহমুদকে ফিরিয়ে দেন নাহিদুল-রকিবুলরা। তারপরও রাজশাহীকে কক্ষপথে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান (২৮) ও মেহেদি হাসান ২৬। কিন্তু তারাও একটা পর্যায়ে গিয়ে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফেরেন। যে কারণে ফের বিপদে পড়ে রাজশাহী। শেস পর্যন্ত তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। যে কারণে সহজ জয়ই পায় চট্টগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ হারলেও এখনও প্লে-অফে ওঠার আশা রয়েছে রাজশাহীর। এজন্য তারা চোখ রাখছে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। ঐ ম্যাচে কেবল বরিশাল হারলেই শান্তর দল উঠে যাবে এ টুর্নামেন্টের শেষ চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৭৫/৪ (২০ ওভার)
সৌম্য ৬৩, লিটন ৫৫, শামসুর ৩০*
আনিসুল ২১/২, সাইফউদ্দিন ৩২/১
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৩৯/৮ (২০ ওভার)
সোহান ২৮, মেহেদী ২৬, ফজলে ১৯
নাহিদুল ১৯/৩, জিয়া ১৭/২
ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৩৬ রানে জয়ী।
Discussion about this post