তাকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ভাবতোই না কেউ। কম তো নয়, ১১ বছর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জায়গা পাননি তিনি। তারপরও লড়ে গেছেন। সেই ফাওয়াদ আলম এখন টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা। এবার তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে গড়লেন অনন্য এক কীর্তি। পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম সময়ে ৫টি সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড তার।
৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন ২২তম ইনিংসে। তারও আগে দ্রুততম ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান। ২৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি।
রোববার অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস খেলে এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের ফাওয়াদ এখন শীর্ষে। ২২ ইনিংসে দ্রুততম ৫ সেঞ্চুরিতে নাম্বার ওয়ান। ভারতের চেতেশ্বর পূজারাকে ফেললেন পেছনে। ২৪ ইনিংসে তার সমান সংখ্যক সেঞ্চুরি ছিল তার। একই কীর্তি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সুনীল গাভাস্কারও গড়েছিলেন ২৫তম ইনিংসে।
২০০৯ সালে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ২০২১ সালে এসে ফাওয়াদ পঞ্চম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভাঙেন ভারতের চেতেশ্বর পূজারার রেকর্ড। ১১ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফাওয়াদের টেস্ট অভিষেক। প্রথম ইনিংসে করেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেই খেলেন ১৬৮ রানের ইনিংস। পরের দুইটি ম্যাচের চার ইনিংসে করেন যথাক্রমে ১৬, ১৬, ২৯ ও ৫ রান। এরপরই বাদ পড়েন। আর সুযোগই পাচ্ছিলেন না এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
১১ বছর পর ২০২০ সালে আবার সুযোগ পান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রত্যাবর্তনের ইনিংসে ০ রানে আউট। পরের তিন ইনিংস করেন যথাক্রমে ২১, অপরাজিত ০ ও ৯ রান। কিন্তু এরপরই ফেরার মতো ফিরলেন।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্টে আবার সেঞ্চুরি পান ফাওয়াদ। নিউজিল্যান্ড সফরে করেন ১০২। পরের দুই সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন যথাক্রমে ১০৯ ও ১৪০ রানের ইনিংস। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করলেন অপরাজিত ১২৪। অর্থাৎ টানা ৪টি টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরি!
উইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংস খেলে ২২ ইনিংসে ফাওয়াদের অর্জন ৮৯৫ রান। ব্যাটিং গড় ৪৭.১১।
Discussion about this post