তিনি বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এনে দিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। তবে নিজেকে বেশ পরিনত করছেন মাহমুদুল হাসান জয়। দাপট দেখাচ্ছেন ব্যাট হাতে। বৃহস্পতিবার ফের কথা বলল এই তরুণের ব্যাট।
৭ ছক্কায় খেললেন ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। কিন্তু তার সতীর্থরা ব্যর্থ। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেও হারল তার দল। ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জিতল ৬ উইকেটে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাহমুদুল জয় করেন ৫৫ বলে অপরাজিত ৮৫ রান। ৩ চার ও ৭ ছক্কায় এবারের লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। অথচ তার দল ওল্ড ডিওএইচএস ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১৩৬। জবাবে নেমে গাজী গ্রুপের কেউ ফিফটি করতে না পারলেও জিতল ৫ বল হাতে রেখে।
কারণটাও সংগত। সবাই খেললেন। সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক জুটি ৬৩ বলে করে ৬৫ রান। মুমিনুল ৩৪ বলে ২৭। টানা দুই ম্যাচে ফিফটির পর এবার সৌম্য ৩৫ বলে ৩৭। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৮ বলে ১৯ রান। শেষে ইয়াসির আলি চৌধুরিকে ১৮ বলে ২৪*।
তবেম্যোচসেরা মাহমুদুল জয়ই। এবারের লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৫টির বেশি ছক্কা হাঁকালেন। ঝড় তুললেন। দলকে অবশ্য জেতাতে পারলেন না!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওল্ড ডিওএইচএস: ২০ ওভারে ১৩৬/৭ (আনিসুল ১, রাকিন ৮, মাহমুদুল ৮৫*, মোহাইমিনুল ৮, রায়ান ০, রকিবুল ইসলাম ১, প্রিতম ১১, রকিবুল হাসান ০, আলিস ১৫*; নাসুম ৪-০-১০-২, তারেক ৪-০-৩২-১, মুকিদুল ৪-০-২৭-১, মেহেদি ৪-০-৩৭-০, মুমিনুল ২-০-১৮-১, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১২-১)।
গাজী গ্রুপ: ১৯.১ ওভারে ১৩৮/৪ (মেহেদি ২২, সৌম্য ৩৭, মুমিনুল ২৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯, ইয়াসির ২৪*, জাকির ০*; হামিদুর ২-০-২০-১, মোহাইমিনুল ৪-০-৩২-০, আলিস ৪-০-১৮-১, পায়েল ২.১-০-৩৩-০, রকিবুল ৪-০-২১-০, রায়ান ৩-০-১৪-০)।
ফল : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ : মাহমুদুল হাসান জয়।
Discussion about this post