ধন্যবাদ পেতেই পারেন তামিম ইকবাল। তার নেতৃত্বে জয়ের ছন্দে ফিরেছে বাংলাদেশ। ঈদের দিনে আনন্দটা মাটি হয়নি! কোরবানির উদযাপনের এই সময়ে ধরা দিল স্বস্তির জয়। প্রিয় ফরম্যাটে ফিরতেই ছন্দে বাংলাদেশ দল। শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। এরপর সঙ্গ দিলেন ব্যাটাররাও-দুইয়ে মিলে দারুণ জয়!
চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। রোববার রাতে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দল এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে!
ম্যাচটি হবে কীনা এনিয়েই ছিল শঙ্কা! বৃষ্টির সেই বাধা শেষে অবশ্য গড়াল বল। তবে বৃষ্টির জন্য ৪১ ওভারে নেমে আসে ম্যাচটি।বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৯ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জবাব দিতে নেমে তামিম ইকবালের দল ৫৫ বল বাকি থাকতেই পা রাখে জয়ের বন্দরে। এটি ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের টানা নবম জয়।
যদিও এবারের সফরটা ভয়াবহ খারাপ হচ্ছিল বাংলাদেশের। শুরুতে টেস্টে ০-২ ব্যবধানে হার। এরপর টি-টুয়েন্টিতেও একই ব্যবধানে ভরাডুবি। ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও ইয়াসির আলি চৌধুরিকে ছাড়াই খেলতে নেমে ঠিকই বাজিমাত।
ম্যাচে টাইগারদের জয়ের নায়ক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তিনি নেন ৩৪ রানে ৪ উইকেট। ওয়ানডেতে এটিই তার সেরা বোলিং। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ উইকেট তুলেন ৩৬ রানে। স্পিনার নাসুম আহমেদ ৮ ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান।
গায়নার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে সফল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৯ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ৪১ রান করেন তিনি। নুরুল হাসান সোহান ২৭ বলে ২০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪১ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ০, মেয়ার্স ১০, ব্রুকস ৩৩, কিং ৮, পুরান ১৮, পাওয়েল ৯, শেফার্ড ১৫, আকিল ৩, মোটি ৭, ফিলিপ ১৯*, সিলস ১৬*; নাসুম ৮-৩-১৬-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৪-১, মিরাজ ৯-২-৩৬-৩, তাসকিন ৮-০-২৬-০, শরিফুল ৮-১-৩৪-৪)।
বাংলাদেশ: ৩১.৫ ওভারে ১৫১/৪ (তামিম ৩৩, লিটন ১, শান্ত ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, আফিফ ৯, সোহান ২০*; আকিল ৮-০-৪৩-১, সিলস ৩.৫-০-২৬-০, ফিলিপ ২-০-১৫-০, শেফার্ড ২-০-১০-০, মোটি ৯-১-১৮-১, পুরান ৭-০-৩৯-১)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ
Discussion about this post