১০ বছরের ক্যারিয়ারে খেলা হচ্ছে মাত্র ৫০ টেস্ট। অথচ আপনার ৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করে ভারতের বিরাট কোহলি খেলেছেন ৬০টি টেস্ট। এনিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই সাকিব আল হাসানের। বৃহস্পতিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেমন কথাই বললেন তিনি। সেই সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ ক্রিকবিডি২৪.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আপনার ৫০তম টেস্ট হবে। টেস্টের পর থেকে জার্নিটা কেমন ছিল?
প্রথম টেস্ট যখন খেলেছি তখন চিন্তা করিনি আর কত টেস্ট খেলবো। প্রথম টেস্ট যখন খেলেছিলাম তখন এটাই চিন্তা ছিল যে টেস্টে অভিষেক হয়েছে। আর যেটা একটা মজা ছিল। মজাটা এখন নেই তা না, এখন নানা ধরণের দায়িত্ব নিতে হয়।
স্পিন কোচ হিসেবে সুনিল যোশি আপনাদের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। তার কাছ থেকে কতটুকু শিখতে পারছেন?
আজকেই প্রথম ওনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হলো। কথা বলে ভালো লেগেছে। কিন্তু তার ব্যাপারে মন্তব্য করার জন্য সময় দিতে হবে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বলেছিলেন যে ওরা আপনার ও মোস্তাফিজের ব্যাপারে বেশ জেনেশুনে এসেছে। আপনাদের দুজনকে নিয়ে ওরা পরিকল্পনাও নিয়েছে। আপনার কোন পরিকল্পনা আছে কী না?
না, এই পর্যন্ত কোন পরিকল্পনা নেই। তবে এবছরটা আমার ভালো যাচ্ছে। চেষ্টা থাকবে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই যেন আরও ভালো করতে পারি।
অস্ট্রেলিয়ার কোন দিকটি আপনার কাছে হুমকি মনে হচ্ছে?
যে দলই আসুক যে অবস্থায়ই আসুক ওরা সবসময়ই একটি কঠিন প্রতিপক্ষ। ওয়ানডে বা টেস্ট খেলতে যেখানেই যাক কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের চাইতে ভালো দল নেই। সেদিক থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। যেহেতু ওদের দলটা নতুন, কিছুটা অনভিজ্ঞ, উপমহাদেশে সাম্প্রতিক ফর্ম বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা ও ভারতে ভালো করেনি তাই আশা করবো ওই ধারাটা যেন আমাদের বিপক্ষেও অব্যাহত থাকে। এবং আমরাও যেন ভালো করতে পারি।
কোন দিকটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে?
টেস্ট জিততে হলে দুই বিভাগেই কথা বলতে হবে। সেদিক থেকে হুমকিটা সব দিকেই আসতে হবে। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ভালো করতে হবে। ২০টা উইকেট নিতে হবে এটা যেমন সত্যি একই সাথে আমাদের রানও করতে হবে।
হাথুরুসিংহে বলেছেন ২-০ তে সিরিজ জিততে চায়। আপনার কী মনে হয়, সম্ভব?
আমার তো মনে হয় সম্ভব। সম্ভব না হওয়ার কোন কারণ তো আমি দেখি না। প্রত্যাশা দুই টেস্ট জেতা।
৫০টি টেস্ট খেলতে ১০ বছর পার করেছেন। বিষয়টি আনন্দের ব্যাপার। এটা কি একধরণের আফসোসেরও ব্যাপার যে ১০ বছরে আরও অনেক টেস্ট খেলা যেত?
জীবনে বেশি আফসোস নেই। তো ওইদিক থেকে যেটা হলো সেটাই আলহামদুলিল্লাহ। ওরকমভাবে বলবো না যে আফসোস আছে কী নেই। তবে হ্যাঁ, বেশি খেলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু খেলতে পারিনি সেটা নিয়ে আফসোস নেই। যতগুলো খেলেছি এগুলোর পারফরম্যান্স কেমন ছিল সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা থাকবে যেন আরও ভালো করতে পারি। যেহেতু এবছর আমাদের অনেকেই ভালো করেছে, দলটাও ভালো করেছে। লক্ষ্য থাকবে সেই ধারাটিই অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করা।
টেস্ট ক্যারিয়ারের আপনার স্মরণীয় পারফরম্যান্স কোনটি এবং কেন?
স্মরণীয় টেস্ট ইংল্যান্ডেরটা। যা খেলেছিলাম ২০১৬ সালে। আর আমার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যদি চিন্তা করি আমার কাছে মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ২০০৯ সালে অপরাজিত করেছিলাম। ব্যক্তিগত দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ২১৭ রানের ইনিংসটি আমার কাছে স্মরণীয়। বোলিংয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের সাথে চট্টগ্রামের পারফরম্যান্সটা স্মরণীয়। যেখানে ১১৫ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলাম।
Discussion about this post