গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান যাবেন নরওয়ের ট্রমসে; ফিদে ওয়ার্ল্ড চেস কাপে অংশ নিতে। তার যাতায়াত খাতেই খরচ হবে সোয়া লাখ টাকা। এর সঙ্গে থাকা-খাওয়া ও সেখানকার যাতায়াত খরচও আছে। সব মিলে লাগবে সাড়ে তিন লাখের বেশি। কিন্তু দাবা ফেডারেশন জিয়াকে রিটার্ন টিকেট ছাড়া আর কোনো খরচের অর্থ জোগান দিতে পারেনি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকেও দৈনিক খরচের অর্থ মেলেনি। এতে করে দাবার ওই আন্তর্জাতিক আসরে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শুধু অর্থনৈতিক কারণে বিশ্ব দাবা কাপের মতো মহাআসরে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তার কথা শুনে জিয়ার পাশে এসে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। দু’পক্ষের মধ্যে কথার এক পর্যায়ে জিয়া বোর্ডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে তার সম্ভাব্য খরচের বর্ণনা দেন। তখন বোর্ড তাকে আড়াই হাজার ডলার (২ লাখ টাকা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিসিবির অন্যতম পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ‘একটি স্থানীয় টিভিতে জিয়ার হতাশাব্যঞ্জক কথা শুনে বোর্ড সভাপতি জিয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মূলত নাজমুল হাসান পাপনের আন্তরিক উদ্যোগেই আমরা জিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা তার থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করব।’
এদিকে বিসিবির ভূমিকায় জিয়া যারপরনাই খুশি। তার আবেগমাখা সংলাপ, ‘এটা দারুণ ব্যতিক্রম এক ঘটনা। একজন দাবাড়ুর পাশে ভিন্ন ফেডারেশনের দাঁড়ানোর ঘটনা বিরল। ক্রিকেট বোর্ড সে বিরল ঘটনাই ঘটিয়েছে। তারা আমাকে আন্তরিকতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। আমি কৃতজ্ঞ, সেই সঙ্গে একটা দায়বদ্ধতাও তৈরি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, নরওয়ের ট্রমসে ১০ আগস্ট থেকে শুরু হবে ফিদে দাবা বিশ্বকাপ। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ওই আসর। যেখানে বিশ্বের ১২৮ জন দাবাড়ু অংশ নেবেন।
Discussion about this post