শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৪ রান। হাতে ৪ উইকেট। আস্কিং রান রেট ৯.৪০! দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে হেলে পড়া ম্যাচে তখন পাকিস্তানের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। কিন্তু ৪২তম ওভারে ৭৫ বলে ৫৫ রান করা মিসবাহও বিদায় নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ১৬৭ রানে অলআউট করে ৬৭ রানে জিতেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। ওয়েবসাইট।
কাল এজবাস্টনে টস জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে করে ২৩৪ রান। মেঘলা আকাশের নিচে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা খারাপ হয়নি। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন আমলা-ইনগ্রাম। জুটি ভাঙে হাফিজের স্পিনে, সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু ইনগ্রাম। ইনিংসটাকে এরপর এগিয়ে নেন হাশিম আমলা। ৭ রানে উমর আমিনকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। গত মার্চে জোহানেসবার্গে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই জীবন ফিরে পেয়ে করেছিলেন ১২২। কাল সম্ভাবনা জাগিয়েও ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্ক। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম ওভারে সাঈদ আজমলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে হাফিজের দারুণ এক ক্যাচ হয়ে শেষ হয় আমলার ৮১ রানের ইনিংস।
ডি ভিলিয়ার্স-ডুমিনিরা ধরে রেখেছিলেন রানের গতি। কিন্তু মাঝ উইকেটে পিছলে পড়ে ডি ভিলিয়ার্স মিসবাহর সরাসরি থ্রোতে ডুমিনি রানআউট হওয়ার পর থমকে যায় গতি। পাকিস্তানের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ ১০ ওভারে প্রোটিয়ারা তুলতে পারে মাত্র ৫১ রান!
Discussion about this post