ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইন্ডিয়ান উইমেন্স টি-টুয়েন্টিতে বাজিমাত করলেন জাহানারা আলম। দলকে ফাইনালে জেতাতে না পারলেও নিজে ঠিকই সফল। আগুন ঝরা বোলিং করেছেন তিনি। শিকার করেন দুই উইকেট। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের সেরা বলও বের হয়েছে এ পেসারের হাত থেকে। এ
বিদেশি নারী টি-টোুয়েন্টি লিগে বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ভারতে গিয়েছিলেন জাহানারা। কিন্তু ঐ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন এ ডানহাতি। ঐদিন অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ ডানহাতি পেসার। তারপরও তার উপর আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
শনিবার ইন্ডিয়ান উইসেন্স টি-টুয়েন্টি লিগের ফাইনালে তার ভেলেসিটিকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সুপারনোভা। যেখানে ৪ ওভারে জাহানারা ২১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শুরুর তিন ওভার দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। সে সময় এ ডানহাতি রান দেন ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান! নেন ২টি উইকেট। অবশ্য শেষের ওভারে ১৩ রান দেন জাহানারা।
শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে প্লে’র শেষ ওভারে বল হাতে পান জাহানারা। দেন মাত্র ১ রান। ১২ নম্বর ওভারে দায়িত্ব পেয়ে প্রথম সাফল্যের দেখা পান এ ডানহাতি পেসার। সেই ওভারে ৪ রান খরচ হয় তার। বোল্ড করেন এনআর সেইভারকে।
জাহানারার চমকপ্রদ বোলিংয়ে জয়ের পথেই ছিল ভেলোসিটি। সুপারনোভার শেষ ৪২ বলে ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ৬১ রান। ৬ উইকেট হাতে। ঠিক সে সময় আবার আক্রমণে আসেন জাহানারা। দেন মাত্র মাত্র ৩ রান। নেন আরেকটি উইকেট। সুপারনোভার মারকুটো ব্যাটসম্যান ডিভাইনকে যে কায়দায় বোল্ড করেন জাহানারা, সেই বলকে বলা হচ্ছে ‘বল অব দ্য টুর্নামেন্ট!’
জাহানারার ডেলিভারিটি ছিল অফ সাইডে। ডিভাইন খেলতে পারেননি ঠিকমতো। অফস্ট্যাম্পের লাইনে পড়া প্রথম স্লিপের দিকে যাওয়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন তিনি। লেন্থ মিস করেন। একটু নিচু হওয়া বল স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেয়।
টুর্নামেন্টের সেরা বলটি করে জাহানারা বলেন, ‘এ স্বীকৃতি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এ টুর্নামেন্ট এবার আমরা জিততে পারিনি। আমার হয়তো আরো ভালো পারফর্ম করা উচিত ছিলো। আশা করি সামনের সময়ে এই দুঃখ কাটিয়ে উঠতে পারবো।!’
Discussion about this post