বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে শোকের এক দিন। চলে গেলেন অগ্রজ এক ব্যক্তিত্ব। যিনি একাধারে সাবেক ক্রিকেটার, আম্পায়ার, কোচ, লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক। যার লেখায় ধ্রুপদী ছন্দ। তিনি কথায়, বুদ্ধিতে অন্যদের ছাড়িয়ে। সেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় জালাল আহমেদ চৌধুরী আর নেই। গত শুক্রবার রাত থেকে ছিলেন হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে চিরতরে চলে গেলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মারা গেছেন জালাল আহমেদ চৌধুরী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুণী এই কোচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
জালাল আহমেদ চৌধুরী অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই তাকে নিয়ে ছিল দুশ্চিন্তা। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এবার চলেই গেলেন তিনি।
অবশ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ছিলেন। তিনি ভেন্টিলেশনে চলে যান। সেখানেই শেষ।
জালাল চৌধুরী ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার। সেই ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত খেলেছেন ঢাকা ক্রিকেট লিগে। এরপর শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট প্রশিক্ষক হিসেবে ভারতের পাতিয়ালায় উচ্চতর কোচিংয়ের ওপর ট্রেনিং করেন।
ঢাকার ক্লাব মোহামডান, ধানমন্ডি, কলাবাগানসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাবে কোচিং করান জালাল চৌধুরী। কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরীর হাত ধরে এসেছে স্পিনার নজরুল কাদের লিন্টু, রবিন, গোলাম ফারুক সুরু, জি এম নওশের প্রিন্স, তুষার ইমরান, মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো ক্রিকেটার।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কিংবদন্তি এক মানুষ তিনি। এবার সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
Discussion about this post