ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এক সময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আস্থার প্রতীক। ক্রিজ আঁকড়ে থাকতেন তিনি। তুখোড় টেস্ট ব্যাটসম্যান। খেলা ছাড়লেও জাভেদ ওমর জড়িয়ে ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে। ছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার। সবশেষ জাতীয় নারী দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় আইসিসির। তিনি নাকি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তথ্য পাচার করেন। এ কারণেই আইসিসি নাকি ভবিষ্যতে জাভেদ ওমর বেলিমকে টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ না করার নির্দেশনা দিয়েছে বিসিবিকে। এমন খবর ছড়িয়েছে গণমাধ্যমে।
এমন খবর অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘দেখুনম এ ব্যাপারে কিছুই জানি না আমি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী হওয়ার কারণে আইসিসির কোন নির্দেশ, নিষেধাজ্ঞা বা পরামর্শ- আমার কাছেই আসার কথা। কখনও কখনও বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছেও আসে। যদি তাই আসত, তাহলেও আমি জানতাম। বোর্ড সভাপতির কাছে আইসিসির কোন নির্দেশাবলী আসলে আমাকে তিনি বলতেন, আমাকে জানাতেন। কিন্তু তিনিও কিছু বলেননি। আমরা বিসিবি এখনও পর্যন্ত আইসিসির কাছ থেকে এমন কোন নির্দেশনা পাইনি।’
কিন্তু দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ পত্র ও ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ এরইমধ্যে জানিয়েছে-জাভেদ ওমরের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ এনেছে আইসিসি। এনিয়ে বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজ-কে বলেছে, ‘জাভেদ ওমর অবসর গ্রহণ করায় আইসিসি বাড়তি ঝামেলায় যেতে চায়নি। এজন্য বিসিবিকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক তাকে আর কখনো বিসিবির কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’
আইসিসি ঐ নির্দেশনায় বিসিবিকে বলেছে, বোর্ড অনুমোদিত ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে জাভেদ ওমরকে যেন কখনই অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। আইসিসির এ নির্দেশনা মতে জাভেদ ওমরকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিসিবি!
অথচ এনিয়ে জাভেদ ওমর বলেন ভিন্ন কথা। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘দেখুন, আমার বিপক্ষে এত বড় অভিযোগ, সবার আগে জানবে বিসিবি। তারা জানে না, সিইও সকালবেলা আমাকে ফোনে জানালেন, না না, আইসিসি থেকে এমন কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি। আপনার বিপক্ষে কোন অভিযোগও করেনি আইসিসি।’ তারপরও এমন খবরে বিস্মিত জাভেদ। হতাশও তিনি।
ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৯ সালে এ ডানহাতি খেলেছেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সব মিলিয়ে এ তারকা দেশের জার্সিতে খেলেন ৪০ টেস্ট এবং ৫৯ ওয়ানডে।
Discussion about this post