কিছুদিন আগেই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন তিনি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলেছেন দাপুটে ক্রিকেট। লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৩১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের তারকা পেসার আল-আমিন হোসেন। সেই সাফল্যের পরও অবশ্য জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পাননি।
তবে হাল ছাড়েননি লিগ রানার্স আপ রূপগঞ্জের পেসার আল আমিন। লড়ে যাচ্ছেন। মিরপুরের শেরেবাংলায় মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন প্রত্যয়ের কথা শোনালেন এই পেসার। সেই আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
পেসারদের অনুশীলন চলছে। এই প্রসঙ্গে আল আমিন বললেন…
খুব ভালো একটা প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা হয়েছে, ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা যারা জাতীয় দলের সাথে সংযুক্ত নেই তাদেরকে নিয়ে ক্যাম্পে স্থানীয় কোচ তালহা ভাই, নাজমুল ভাইরা খুব ভালো কাজ করছেন। অনেক দিন ধরে হয়ত আমরা খেলছি কিন্তু নিজেদের ভুলভ্রান্তি ধরতে পারছিলাম না। এখানে ভিডিও হচ্ছে, যার যে সমস্যা সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কাজ হচ্ছে।
পেসারদের উইকেট প্রসঙ্গে
যখন ম্যাচের মধ্যে ঢুকব তখন উইকেটের চিন্তা করা উচিৎ। আমাদের এখানে স্কিল নিয়েই মূলত কাজ হচ্ছে। কারও আউটসুইং ভালো, কারও উইনসুইং কম, ইয়র্কার, কারও বোলিং করার সময় বডি বাঁকা হয়… স্কিলের সমস্যাগুলো নিয়েই ক্যাম্প হচ্ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বোলিং নিয়ে…
সামনে ‘এ’ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আছে। এখন এটা নিয়ে চিন্তা করছি না। স্কিল ক্যাম্পের পর প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। নির্বাচকরা সুযোগ দিলে চিন্তা করা যাবে।
জাতীয় দলের আসন্ন সিরিজে পেসাররা কেমন করতে পারেন…
এখন বাংলাদেশে প্রেস বোলিং বিপ্লব চলছে। ৩-৪টা করে পেস বোলার খেলে। যারা বাইরে আছে তারাও খুব ভালো করছে। আমার কাছে মনে হয় ওদের পেস বোলিংয়ের চেয়ে আমাদের পেস বোলিং অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে। দেশের বাইরে চ্যালেঞ্জ সবসময় ব্যাটারদের। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসার স্পিনাররা ভালোই করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটাররা ভালো করলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।
জাতীয় দলে ফেরার মিশন প্রসঙ্গে
ক্রিকেট খেলতে হলে জাতীয় দলের মত জাতীয় দলের বাইরেও খেলতে হবে। এটাই আসলে জীবন। যখন জাতীয় দলে খেলিনি তখন তো বাইরে পারফর্ম করেই দলে ঢুকেছি। ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে ছিলাম না। চেষ্টা করছি পারফর্ম করে কীভাবে আবার কামব্যাক করা যায়।
Discussion about this post